
জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের সময় ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। পাশাপাশি বিচার, সংস্কার, জনজীবনের নিরাপত্তা ও নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির দিকে জোর দেয়ার আহ্বানও জানায় দলটি।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য জাতীয় নির্বাচন অত্যাবশ্যক। ভোটের সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণা জনজীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন সরকারের কাজ এবং সেগুলো একই সঙ্গে চলতে হবে বলে গণসংহতি শুরু থেকে বলে আসছে। এরইমধ্যে বিচার কাজ শুরু হয়েছে। তাতে দ্রুতগতি আনা ও বিচারিক প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি। একইভাবে সংস্কার কাজেরও অগ্রগতি হচ্ছে। শিগগিরই জুলাই সনদ তৈরি হওয়ার ভেতর দিয়ে তা আরও এগিয়ে যাবে বলে গণসংহতি আন্দোলন আশা করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জনগণের সম্মতি নিয়েই সংস্কার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়া জরুরি। সেজন্য নির্বাচন দরকার। এই নির্বাচন যাতে টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সংবিধানিকভাবে তৈরি করতে পারে সেজন্য আগামী ভোটে সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন হিসেবে করার দাবি জানাচ্ছি। এই নির্বাচনে গঠিত সংসদ একইসঙ্গে সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও রাষ্ট্র পরিচালনার কাজ করবে। আগামী নির্বাচনকে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য করা সরকারের একটি বড় দায়িত্ব এবং চ্যালেঞ্জ। অবিলম্বে নির্বাচনে সকলের সমান সুযোগ সৃষ্টি ও নির্বাচনের ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সরকারের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, জাতির উদ্দেশে দেয়া আজকের ভাষণে ছাব্বিশের ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠাব, যেন নির্বাচন কমিশন আগামী রমজানের আগে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
/আরএইচ



Leave a reply