কোরবানি ঈদের পর থেকেই চাল কিনতে হিমশিম অবস্থা। তখন মাত্রই শেষ হয়েছে বোরো মৌসুম। কথা ছিল, এর ফলে অন্তত মোটা চালের দাম কমবে। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো। কেননা মিলারদের বেঁধে দেয়া দরে ধান বিক্রি করতে হয়েছে কৃষককে। সেই সুযোগে অনেকটা পাল্লা দিয়ে ধান মজুদ করেছেন বড় ব্যবসায়ী আর করপোরেট বেনিয়ারা।
এর ফলে এখন তাদের ইচ্ছায় ঠিক হচ্ছে চালের দামও। তাই এক বছরে পাইজামের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ৫ টাকা। একই চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে ইরির দর। ৭৫ থেকে ৮০ টাকা লাগছে এক কেজি মিনিকেট কিনতে। সেঞ্চুরি হাঁকানোর দ্বারপ্রান্তে নাজিরশাইল।
এর মাঝেই বাজারে নতুন খবর, বেসরকারিভাবে আমদানি করা হবে চাল। যার বড় চালান আসবে ভারত থেকে।
বন্যা আর অতিবৃষ্টির শঙ্কায় আগে থেকেই চাল আমদানির প্রস্তুতি ছিল খাদ্য বিভাগের। তবে শেষ পর্যন্ত আনতে হচ্ছে দাম নিয়ন্ত্রণে। এরইমধ্যে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে আবেদন করতে বলা হয়েছে। ডেডলাইন ৭ আগস্ট। তাতে সাড়া দিয়ে ভারতে যোগাযোগ শুরু করেছেন উত্তরের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী। জানালেন, সরকারের অনুমোদন পেলেই আসতে শুরু করবে চাল।
বলা হচ্ছে, ভারত থেকে মোটা জাতের স্বর্ণা চাল আনা হবে ৫০ থেকে ৫২ টাকা দরে। আর সরু জাতের শম্পার কেজি হবে ৬৫ থেকে ৬৭ টাকার মধ্যে।
/এমএন

