আত্মবিশ্বাস, দৃষ্টিভঙ্গি ও ব্যক্তিত্ব গড়তে পড়তে পারেন এই ছয়টি বই

|

শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বইয়ের রয়েছে মানুষের চিন্তাভাবনা ও জীবনকে বদলে দেয়ার অসাধারণ এক ক্ষমতা। প্রচলিত কল্পকাহিনি বা রোমান্টিক বইয়ের বাইরেও আরও অনেক বই রয়েছে, যেগুলো বাস্তব জীবন কিংবা কাল্পনিক চরিত্রের মাধ্যমে পাঠকের মনকে বেশ প্রভাবিত করে। এই বইগুলো অনুপ্রেরণামূলক, আত্মবিশ্বাস জাগানিয়া এবং জীবন নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম, যা এক মুহুর্তেই আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারে ঠিক তেমনই ছয়টি বিশেষ বই নিয়ে আজকের আলোচনা।

মাইন্ডসেট: দ্য নিউ সাইকোলজি অফ সাকসেস:

কারোল এস. ডউইক এই বইয়ে ‘গ্রোথ মাইন্ডসেট’ ধারণার কথা তুলে ধরেছেন, যা ব্যর্থতা ও সাফল্যের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে সাহায্য করে। বইটি উপলব্ধি করায়, কেবল প্রতিভা নয়, বিশ্বাস এবং পজিটিভ মনোভাবের পরিবর্তনই আত্মবিশ্বাস ও সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলতে পারে। ব্যর্থতাকে হীনমন্যতার প্রতিফলন নয়, বরং শেখার সুযোগ হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলে এই বই।

ইউ আর আ ব্যাডাস:

জেন সিনসেরোর লেখা এই বইটি একাধারে যেমন মজার তেমনি সরল সহজ এবং অনুপ্রেরণামূলক। এতে আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে এমন নেতিবাচক ভাবনা ও সন্দেহ দূর করার কৌশল তুলে ধরা হয়েছে। ছোট ছোট সাফল্যের উদযাপন ও ধৈর্যের গুরুত্ব তুলে ধরে বইটি আত্মবিশ্বাস বাড়াতে স্পষ্টত কার্যকর। অর্থাৎ এটি শুধু তাত্ত্বিক কথা নয়, বরং আপনি বাস্তব জীবনে যা শিখবেন তা কাজেও লাগাতে পারবেন।

স্টার্ট উইথ হোয়াই:

সাইমন সিনেকের ‘গ্লোডেন সারকেল’ ধারণা কেন, কীভাবে, কত ও কী আমাদের প্রতিটি কাজের পেছনের মূল উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে সহায়তা করে। বইটি আত্মবিশ্বাস বাড়ায় নিজের কেন বা অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যের সঙ্গে আবারও সংযোগ স্থাপন করে। যখন আপনি নিজের উদ্দেশ্য অনুযায়ী কাজ করবেন, তখন আপনার আত্মবিশ্বাসও হবে আরও দৃঢ় ও স্বচ্ছ।

এসেনশিয়ালিজম: দ্য ডিসিপ্লিন্ড পারসুইট অফ লেস:

এই বইয়ে গ্রেগ ম্যাককিওন দেখিয়েছেন কীভাবে অপ্রয়োজনীয় বিষয় বাদ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসে মনোযোগ দেয়া যায়। সময় ও শক্তি কোথায় ব্যয় করবেন, তা নিজেই নির্ধারণ করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ‘আমি সঠিক কাজে সময় দিচ্ছি তো?’—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে জীবনের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় দিকগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

ম্যান’স সার্চ ফর মীনিং:

নাৎসি বন্দিশিবিরে কাটানো অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা এই বইয়ে ভিক্টর ফ্রাংকল জীবন সম্পর্কে এক গভীর দর্শন তুলে ধরেছেন। যেমন তিনি বলেছেন, মানুষের সবচেয়ে বড় প্রেরণা হলো ‘অর্থ খোঁজার ইচ্ছা’। কাজ, ভালোবাসা, কিংবা কষ্টকে মর্যাদার সঙ্গে গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে মানুষ জীবনের গভীর অর্থ খুঁজে পায়। তাই আত্মবিশ্বাস, স্পষ্টতা এবং নৈতিক সাহস গঠনের জন্য আপনি এই বইটি পড়তে পারেন।

দ্য সেভেন হ্যাবিটস অফ হাইলি ইফেকটিভ পিপল:

স্টিফেন কোভির এই বইটিতে যে সাতটি অভ্যাসের কথা বলা হয়েছে। এমন একটি ভিত্তি গড়ে তোলে যা আপনার চরিত্র, স্পষ্টতা এবং দক্ষতাকে লালন করে। এই ভিত্তি তৈরি হয় নীতিনিষ্ঠ জীবনযাপন, দায়িত্ববোধ ও উদ্দেশ্যপূর্ণ কাজের ওপর—যা ক্ষণস্থায়ী সফলতা বা বাইরের স্বীকৃতির ওপর নির্ভর করে না। এই বইটি এমন এক অনন্য সংমিশ্রণ, যা ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে এবং শেষমেশ পাঠকের আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ় ব্যক্তিত্ব গঠনে সহায়ক হয়।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

/এসআইএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply