Site icon Jamuna Television

প্রবাসীদের ভোট: প্রতীক বরাদ্দের পর ব্যালট পাঠানো ও ভোট গ্রহণের সময় বৃদ্ধির পরামর্শ

লাভলী বিথী:

ভোটাধিকার প্রবাসীদেরও সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু বাস্তবে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা সেই অধিকার চর্চার সুযোগ কখনোই পাননি। আইনে পোস্টাল ব্যালটের নিয়ম থাকলেও বিগত সময়ে একটি ভোটও বিদেশ থেকে আসেনি।

আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার প্রবাসীরা প্রতীক সম্বলিত পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানের সুযোগ পাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার আগেই প্রতীকসহ ব্যালট পেপার প্রবাসীদের কাছে পাঠানো হবে। সেই ব্যালটে নিবন্ধিত দলগুলোর সংরক্ষিত প্রতীকের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ১০টি প্রতীক দেয়া থাকবে।

পুরো প্রক্রিয়াটি পোস্ট অফিসের মাধ্যমেই সম্পন্ন হবে। ভোট দিতে ইচ্ছুক প্রবাসীদের নিবন্ধনের জন্য তিন সপ্তাহ সময় পাবেন। প্রতীক বরাদ্দের পর ডাকযোগে ভোট পাঠাতে পারবেন তারা।

তবে কোনো দল প্রার্থী না দিলেও সেই প্রতীক ব্যালটে থেকে যাবে। এটি বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা বিশ্লেষকদের। তাদের মতে, প্রতীক বরাদ্দের পর ব্যালট পেপার পাঠাতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রাখতে হবে।

নির্বাচন বিশ্লেষক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বহুবছর থেকে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও তা হয়নি। এই বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার অগ্রাধিকারে রয়েছে। পোস্টাল ব্যালট নিয়ে মানুষের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া অমূলক নয়, অনেকক্ষেত্রে তা স্বাভাবিক। কারচুপি ঠেকাতে কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞ জেসমিন টুলি বলেছেন, প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে মনোনয়ন চূড়ান্ত ও প্রতীক বরাদ্দের পর ভোটগ্রহণের সময় অন্তত ৩০ দিন করতে হবে। যাতে প্রবাসীদের কাছে ব্যালট পৌঁছায় এবং সময়মতো ভোট ফেরত আসে। তবে অনেক অসুবিধার মধ্য দিয়ে হলেও প্রথমবারের মতো এটি চালু হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, কোনো রিটার্নিং অফিসার প্রভাবিত হলে ব্যালটগুলোর টাইমিংয়ের ক্ষেত্রে হেরফের করতে পারে। এরকম একটি ফাঁক থেকে যায়। কিন্তু এবারের ভোটে সেরকম ফাঁক ফোকর থাকার কথা নয়।

তবে অতীতের অভিজ্ঞতা বদলে এবার সত্যিই প্রবাসী ভোটে প্রাণ ফিরবে কি না তার উত্তর ব্যালট ফেরার পরই মিলবে।

/আরএইচ

Exit mobile version