তেজস্ক্রিয় বস্তু থাকার সন্দেহে ব্রাজিল থেকে আনা লোহার স্ক্র্যাপবাহী একটি কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দর বিশেষ এলাকায় আলাদা করে রাখা হয়েছে। কন্টেইনারটি পরীক্ষার জন্য বিষয়টি পরমাণু শক্তি কমিশনকে অবহিত করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর ও কাস্টমস সূত্র জানায়- গত ৩ আগস্ট ঢাকার ডেমরার এক আমদানিকারকের ব্রাজিল থেকে আনা স্ক্র্যাপবহনকারী কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরের জিসিবি টার্মিনালের ৯ নম্বর জেটিতে ‘এমভি মাউন্ট ক্যামেরুন’ জাহাজ থেকে নামিয়ে রাখা হয়।
গত বুধবার বন্দরের ৪ নং ফটক দিয়ে কন্টেইনার খালাস নেয়ার সময় কাস্টমসের তেজস্ক্রিয় শনাক্তকরণ ‘মেগাপোর্ট ইনেশিয়েটিভ রেডিয়েশন ডিটেকটিভ সিস্টেম’ যন্ত্রে ধরা পড়ে তেজস্ক্রিয়তার বিষয়টি। এরপর কন্টেইনার খালাস স্থগিত করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
গত ৩০ মার্চ ব্রাজিলের মানাউস বন্দর থেকে এমএসসির একটি জাহাজে জাহাজীকরণ হয় কনটেইনারটি। আলাদা করে রাখা কন্টেইনারটি পরমাণু শক্তি কমিশনের পরীক্ষার পর জানা যাবে ঝুঁকি ও তেজস্ক্রিয়তার পরিমাণ।
এরপর ১৮ এপ্রিল পানামার ক্রিস্টোবাল বন্দরে নামিয়ে রাখা হয়। এরপর ৩ মে আরেকটি জাহাজে তুলে নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম বন্দরে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ২ জুন আরেকটি জাহাজে শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে নেওয়া হয়। ২৮ জুলাই কলম্বোর সাউথ এশিয়া গেটওয়ে টার্মিনাল থেকে মাউন্ট ক্যামরন জাহাজে তোলা হয় কন্টেইনারটি। গত ৩ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়।
/এটিএম

