Site icon Jamuna Television

আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে জেলেনস্কি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে: হোয়াইট হাউস

আগামী শুক্রবার (১৫ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠক নিয়ে কূটনৈতিক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ইউরোপীয় নেতারা দ্রুত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বোঝার জন্য—এই বৈঠকে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হলেও দেশটিকে যেন উপেক্ষা না করা হয়।

স্থানীয় সময় শনিবার (৯ আগস্ট) ইংল্যান্ডের গ্রামীণ এক এলাকায় ইউরোপীয় কর্মকর্তারা হঠাৎ আয়োজন করা এক বৈঠকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে তাদের অবস্থান উপস্থাপন করেন।

বৈঠক শেষে ইউরোপীয় নেতারা জানান, তারা ট্রাম্পের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করলেও, কোনো শান্তি আলোচনার আগে যুদ্ধবিরতি দরকার এবং ইউক্রেনকে অবশ্যই আলোচনা প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির নাম ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের অংশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। তবে হোয়াইট হাউস এখনো তাকে বৈঠকে অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা পুরোপুরি খারিজ করেনি বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, জেলেনস্কি সম্পর্কিত যেকোনো কিছু সম্ভবত ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের পরেই হবে। বৈঠকটি খুব দ্রুত সংগঠিত হচ্ছে, এবং অনেক কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

এক হোয়াইট হাউস কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্প ‘উভয় নেতার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে’ আশাবাদী। তবে বর্তমানে প্রেসিডেন্ট পুতিনের অনুরোধে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

এর আগে, স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ আগস্ট) ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই মার্কিন মিত্রদের সমর্থন আদায়ে কূটনৈতিক আলোচনা জোরদার হয়েছে। তবে ট্রাম্পের ঘোষণায় জেলেনস্কির সম্পৃক্ততা সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।

ইতোমধ্যে, ইউরোপীয় নেতারা ও জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলছেন—যুদ্ধ শেষ করার বিষয়ে যেকোনো আলোচনায় ইউক্রেনকে অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হবে। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে আয়োজিত বৈঠকে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে পুতিনের প্রস্তাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান এবং নিজেদের শর্তাবলি তুলে ধরেন।

সূত্র: সিএনএন নিউজ।

/এআই

Exit mobile version