
নোয়াখালী করেসপনডেন্ট:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে কুলসুম সুমাইয়া (৩) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ ঘটনায় পুলিশ শিশুটির সৎমা শিউলি আক্তারকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে।
এর আগে, গতকাল রোববার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের খানপুর গ্রামের নুরবক্স চাপরাশি বাড়ি থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত সুমাইয়া একই বাড়ির সৌদি প্রবাসী ফয়সাল আহমদের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমাইয়া তার সৎ মা শিউলি আক্তারের (২৫) সাথে উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শিউলি তার সৎ মেয়ে শিশু সুমাইয়াকে মারধর করে। এরপর তাকে গোসল করিয়ে ঘুম পাড়ায়। এরপর বিকেলের দিকে ঘুমানো অবস্থায় শিশুটিকে মৃত পায় তার সৎমা। পরে বিষয়টি তিনি তার প্রবাসী স্বামীকে জানায়। পরবর্তীতে বাসায় ডাক্তার নিয়ে আসেন। তখন ডাক্তার জানায় শিশুটি অনেক আগেই মারা গিয়েছে।
প্রবাসী স্বামীর পরামর্শে সৎ মা একই দিন রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে সুমাইয়ার মরদেহ দাফনের জন্য স্বামীর গ্রামের বাড়ির উপজেলার খানপুর গ্রামে নিয়ে যান। পরদিন সকালে শিশুটির মরদেহ গোসল করানোর সময় তার কানে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। তাৎক্ষণিকভাবে তারা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে বিষয়টি জানায়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, সুমাইয়াকে শ্বাসরোধ করে তার সৎমা মেরে ফেলেছে বলে ৯৯৯-এ ফোন করে একটি অভিযোগ দেয়া হয়। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। মৃত শিশুর গলায় ও ডান কানে আঘাতের চিহ্ন থাকায় সৎমা গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
ওসি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় রোববার রাতে নিহত শিশুর দাদি মারজাহান বেগম বাদী হয়ে সৎমা আসামি করে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
/এএইচএম



Leave a reply