দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর আর কোনো দেশে দূতাবাস খোলা হলে বাংলাদেশেই প্রথম হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নবনিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকমিশনার আনিল সুকলাল। ঢাকা-কেপটাউন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গভীর করতে শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে সফরের আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি। দারিদ্র ও বেকারত্ব দূরীকরণ এবং উন্নয়ন ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে আগ্রহী দক্ষিণ আফ্রিকা।
ঢাকা-কেপটাউন দূরত্ব প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার। বর্নবাদের কারণে জাতিগত, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বৈষম্য শিকার দক্ষিণ আফ্রিকায় সামাজিক অস্থিরতা নিত্যদিনের। বাংলাদেশেও রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের সঙ্গে দারিদ্র ও বেকারত্বও বিদ্যমান।
এসব সংকট উত্তরণে দু’দেশ একত্ সঙ্গে কাজ করলে কতদুর আগানো যাবে..? তা নিয়ে যমুনা টেলিভিশনকে জানাচ্ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা নব-নিযুক্ত হাইকমিশনার অনিল শুকলাল।
ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিন আফ্রিকার হাইকমিশনার আনিল সুকলাল বলেন, বাংলাদেশ-দক্ষিন আফ্রিকা ভিন্ন দুই দেশ হলেও সংকটগুলো একই রকম। দারিদ্র, অনুন্নয়ন, অসমতা ও বেকারত্ব দূরীকরনে আমাদের অভিজ্ঞতা আছে। যা বাংলাদেশের সাথে শেয়ার করতে পারি। সমাধানে এর মূল শেকড় ধরেও কাজ করতে হবে। দ্বিপাক্ষিকভাবেও এই সমস্যা সমাধানে আগ্রহী দক্ষিন আফ্রিকা)
দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের একটি সফর নির্ধারণ করতেও চেষ্টা করছেন শুকলাল। বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার আগ্রহের কথাও জানালেন শুকলাল।
ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিন আফ্রিকার হাইকমিশনার আনিল সুকলাল বলেন, ১৯৯৭ সালে নেলসন ম্যান্ডেলা যখন বাংলাদেশ সফর করেছিলেন তখনই তিনি বলেছিলেন এই দেশে দূতাবাস খোলার কথা। পরবর্তীতে তা আর হয়নি। আমাদের সরকারের অর্থ বরাদ্ধ হলেঈ যত দ্রুত সম্ভব এখানে দূতাবাস খুলব আমরা। এমনকি এই অঞ্চলে নতুন করে কোন দূতবাস খুললে সেটা বাংলাদেশেই হবে।
বাংলাদেশের ঔষুধ, পোশাক ও কৃষি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহের কথা কথা বলেন, এই হাইকমিশনার। বিপরীতে বাংলাদেশ থেকেও।
হাইকমিশনার অনিল সুকলাল আরও বলেন, শুধু রাজনৈতিক সম্পর্ক নয়। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উইন-উইন পরিবেশ চাই আমি। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের , ঔষধ, পোষাক ও কৃষিখাত সম্ভাবনাময়। যেখানে বিনিয়োগে আগ্রহী আমরা। একইসাথে বাংলাদেশ থেকেও বিনিয়োগ প্রত্যাশা করি আমরা
বাংলাদেশ-সাউথ আফ্রিকা সম্পর্ক কীভাবে আরও গভীর করা যায় তা নিয়েও কাজ করার কথা জানান, হাইকমিশনার অনিল সুকলাল।
/এআই

