
বকেয়া পরিশোধ না করায় চিটাগং কিংসের সঙ্গে করা সমঝোতা চুক্তি বাতিল করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড— বিসিবি। সেইসাথে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা বকেয়া দাবি করেছে বিসিবি। বোর্ডের দাবি অনেকবার তাগাদা ও নোটিশ দেওয়ার পরও চুক্তির শর্ত রক্ষা করতে পারেনি চিটাগং কিংসের সত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান এস.কিউ. স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড। তবে বকেয়া পেতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড।
সম্প্রতি বকেয়া ৪৬ কোটি টাকা চেয়ে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি চিটাগং কিংসকে আইনি নোটিশ পাঠানোর খবরের প্রতিক্রিয়ায় এমনটি বলছিলেন দলটির কর্ণধার সামির কাদের চৌধুরী। দুদিন আগেই বিসিবির সেই টাকার অঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চিটাগং দলের মালিক। বিপিএলের সবশেষ আসরের আগে বিসিবির সঙ্গে সমঝোতা করে চিটাগং কিংস। ৯ কোটি টাকা দেনা থাকলেও সাড়ে তিন কোটি টাকা দেয়ার শর্তে বিপিএলে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় চট্টলার দল। তবে এরপরও বিসিবিকে প্রাপ্ত টাকা দেয়নি চিটাগং। আর তাই গত ২২ জুলাইয়ের নোটিশ অনুযায়ী সাড়ে তিন কোটি টাকায় সমঝোতার সেই চুক্তি বাতিল করেছে বিসিবি।
চিটাগং কিংসের কাছে বিসিবি পাওনা আসল অর্থের অঙ্ক দেখিয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। সঙ্গে ২০১২ থেকে সবশেষ ২০২৫ আসর পর্যন্ত ১৩ বছরের মোট সুদের পরিমাণ দেখিয়েছে ২২ লাখ ৩২ হাজার ৯২ মার্কিন ডলার। সুদাসল মিলিয়ে যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ লাখ ৮২ হাজার ১৫৬ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ৪৬ কোটি। বিসিবির হিসেবমতে ২০১২ থেকে ২০২৫ আসর পর্যন্ত এসকিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের কাছে বকেয়া অর্থের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে এটি।
বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিপিএলের প্রথম ও দ্বিতীয় আসরে ক্রমাগতভাবে চুক্তির আইনি ও আর্থিক শর্ত ভঙ্গ করে গেছে চিটাগং কিংসের সত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান এস.কিউ. স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড। ২০১৩ সাল থেকে ২০২৫ পর্যন্ত বিসিবির পক্ষ থেকে অনেকবার তাগাদা ও নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাদের, এর মধ্যে ছিল ২০১৩ সালের ৭ মে সালিশি নোটিশ ও গত ২২ জুলাইয়ের আইনি নোটিশও। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিটি চুক্তির শর্ত রক্ষা করতে পারেনি।
পাওনার মধ্যে আছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি, আয়কর এবং ক্রিকেটারসহ সংশ্লিষ্টদের পারিশ্রমিক। আর সেই বকেয়া টাকা পেতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
/এমএইচআর



Leave a reply