Site icon Jamuna Television

গাইবান্ধায় পাওনা টাকার জেরে তাণ্ডবের উপক্রম, সেনা হস্তক্ষেপে শান্ত পরিস্থিতি

গাইবান্ধা করেসপনডেন্ট:

পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে গাইবান্ধায় দু’পক্ষের ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় সাদুল্লাপুর সরকারি কলেজ রোডের আবু হোসেন সুপার মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা করেও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত দুই পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা হাতে সড়কে অবস্থান নিয়ে মার্কেটের গেট ভেঙে হামলার চেষ্টা চালায়। এসময় মার্কেট ও আশপাশের দোকান বন্ধ হয়ে যায়, থেমে যায় যান চলাচল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাদুল্লাপুরের তরফবাজিত গ্রামের গনি মিয়া ও বুজরুক পাঠানোছা গ্রামের তুলিপের কাছে কয়েক লাখ টাকা নেন হামিন্দপুর গ্রামের দুলা মিয়া। পরে সেই টাকা তিনি মঞ্জু নামে এক ব্যক্তির কাছে দেন।

এ নিয়ে গনি ও তুলিপের সঙ্গে দুলা-মঞ্জু পক্ষের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। সম্প্রতি স্থানীয় ধলু ও কাজল নামের দুই ব্যক্তি মঞ্জুর পক্ষে হয়ে পাওনা টাকা পরিশোধে আলোচনায় বসেন, তবে সমাধান হয়নি। শুক্রবার বিকেলে আবু হোসেন সুপার মার্কেটে পুনরায় আলোচনায় বসলে তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে ব্যবসায়ী লাভলু মিয়া ও তার ছোট ভাই নাজমুলের সঙ্গে গনি-তুলিপের হাতাহাতি হয়। খবর পেয়ে উভয় পক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হলে উত্তেজনা চরমে ওঠে।

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজউদ্দীন খন্দকার জানান, খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। উভয় পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এ ঘটনায় লাভলু, নাজমুল ও হালিম নামে তিনজন আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কিছু বলা যাচ্ছে না; তদন্ত চলছে, পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে ঘটনার পর থেকে শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ ও প্রশাসনের কড়া নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ মানুষকে দ্বন্দ্ব-সংঘাত থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

/এমএইচআর

Exit mobile version