পাহাড়ি ঢলে নিমেষেই ধ্বংস পাকিস্তানের ৩ প্রদেশের লোকালয়

|

পাহাড়ী বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরসহ খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বেশকিছু অঞ্চল। মেঘ বিস্ফোরণের পর দেশটির উত্তর-পশ্চিমের পাহাড়ি অঞ্চলে দেখা দেয় হঠাৎ বন্যা। এখন অবধি প্রাণ হারিয়েছেন ২ শতাধিক মানুষ।

ভয়াবহ এই বন্যা দেখা দিয়েছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। বর্ষার মৌসুমে অঞ্চলটিতে প্রায়ই ক্লাউডবার্স্ট বা মেঘবিস্ফোরণে বৃষ্টি হয়। দেখা দেয় হঠাৎ বন্যা ও ভুমিধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

তবে এবছর বন্যার ভয়াবহতা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি বলেই মনে করছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে খাইবার প্রদেশে প্রাণহানি ঘটেছে বহু মানুষের। ছাড়খার হয়েছে বেশকয়েকটি গ্রাম আর প্রধান সড়কপথগুলো। নিখোঁজ ও ঘরছাড়া শত শত মানুষ। বিভিন্ন স্থানে পড়ে আছে গবাদীপশুর মরদেহ।

স্থানীয় একজন বলেন, ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আছি। পাহাড় থেকে হঠাৎ ঢল নেমে আসে। এতে আমাদের বাড়িঘর, আসবাব আর যানবাহন সব ভেসে গেছে। বহু মানুষ এখনও নিখোঁজ।

প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক সাঈদ উর রহমান কুরেশি বলেন, একই পরিবারের ৬ সদস্যের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি আমরা। অপরদিকে ড্রেনে পড়ে ও বাড়ীর ছাদ ধসে পড়ায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও দুই নারী। বিভিন্ন স্থান থেকে এমন মৃত্যুর ঘটনা আমাদের সামনে আসছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খাচ্ছে জরুরি বিভাগের সদস্যরা। ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে চলছে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ। দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোয় হেলিকপ্টারের সাহায্যে চলছে উদ্ধার কার্যক্রম। প্রতিকূল আবহাওয়ার কবলে পড়ে ৫ যাত্রীসহ বিধ্বস্ত হয়েছে একটি উদ্ধার-হেলিকপ্টারও।

সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, গেল এক মাসে পাকিস্তানে গড়ে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এজন্য দায়ী করা হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতাকে।

/এমএইচআর


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply