Site icon Jamuna Television

গাজাবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে মানবিক ভিসা স্থগিতের কৃতিত্ব দাবি করলেন কট্টর ডানপন্থী কর্মী লরা লুমার

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর স্থানীয় সময় শনিবার (১৬ আগস্ট) ঘোষণা করেছে, তারা এখন থেকে গাজার মারাত্মকভাবে অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসার জন্য ভিসা দেয়া বন্ধ করবে। এই সিদ্ধান্ত এসেছে ডানপন্থী ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ প্রচারক লরা লুমারের অনলাইন প্রচারণার পর, যিনি নিজেকে ‘গর্বিত ইসলামবিদ্বেষী’ বলে পরিচয় দেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর ডানপন্থী কর্মী লরা লুমার গাজাবাসীদের জন্য মানবিক ভিসা স্থগিত করার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং এই সিদ্ধান্তের কৃতিত্ব সম্পূর্ণ নিজের বলে দাবি করেছেন।

এক্সে দেয়া এক পোস্টে লুমার এই সিদ্ধান্তকে ‘চমৎকার খবর’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে ধন্যবাদ জানান, যাকে তিনি ‘প্রো-হামাস এনজিওগুলোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে আগ্রাসনের’ প্রতি দ্রুত সাড়া দেয়ার জন্য প্রশংসা করেন।

তিনি আরও বলেন,

‘আশা করি, সব গাজাবাসীই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত হবে।’

পাশাপাশি লুমার মন্তব্য করেন,


‘ফিলিস্তিনিরা চাইলে অন্য কোথাও চিকিৎসা নিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের হাসপাতাল নয়!’

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,

‘গত কিছুদিনে গাজার কিছু মানুষকে অস্থায়ী চিকিৎসা ও মানবিক ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে, তার পূর্ণ ও বিস্তৃত পর্যালোচনার জন্য গাজা থেকে আগত সব ভিজিটর ভিসা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।’

লরা লুমার, যাকে একসময় এক্স থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কিন্তু ইলন মাস্কের মালিকানার পর আবার এই প্ল্যাটফর্মে ফিরেছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৫ আগস্ট) একাধিক পোস্টে গাজার মারাত্মকভাবে আহত শিশু ও তাদের পরিবারের ভিডিও শেয়ার করেন, যারা এই মাসে হিউস্টন ও সান ফ্রান্সিসকোতে চিকিৎসার জন্য পৌঁছেছে।

তিনি ভিডিওগুলোর সঙ্গে ভুল দাবি করে বলেন, এসব শিশু ও তাদের পরিবার ‘জিহাদি স্লোগান দিচ্ছে’ এবং তারা “সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের বাঁশি বাজাচ্ছে’।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর সব ভিজিটর ভিসা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়ার পর এই সিদ্ধান্তের জন্য কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করেছেন লরা লুমার।

এই চিকিৎসা সহায়তা কর্মসূচি বহু বছর ধরে গাজার শিশুদের জন্য জীবনরক্ষাকারী ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে আসছিল। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এমন সিদ্ধান্ত গাজার মানবিক সংকটকে আরও গভীর করবে, যেখানে ইতোমধ্যেই চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে, এবং হাজার হাজার শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।

সূত্র: ডন নিউজ, গার্ডিয়ান, আল জাজিরা।

/এআই

Exit mobile version