Site icon Jamuna Television

প্রথমবারের মতো রান-অফে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

প্রথমবারের মতো রান-অফে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। স্থানীয় সময় রোববারের (১৭ আগস্ট) ভোটে চমক দেখিয়ে এগিয়ে গেছেন মধ্যপন্থী প্রার্থী সেনেটর রদ্রিগো পাজ। তবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় আগামী১৯ অক্টোবর তাকে লড়তে হবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ডানপন্থী নেতা হোর্হে ‘তুতো’ কুইরোগার বিপক্ষে।

৯১% ভোট গণনা শেষে রদ্রিগো পাজ পেয়েছেন ৩২.৮% ভোট। অন্যদিকে, কুইরোগা পেয়েছেন ২৬.৪%। তবে, প্রেসিডেন্ট হতে হলে প্রার্থীকে ৫০% বা অন্তত ৪০% ভোট এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১০ শতাংশ পয়েন্ট এগিয়ে থাকতে হয়। প্রত্যাশিত ফলাফল না আসায় নিশ্চিত হলো রান-অফ।

ফলাফলে বড় ধাক্কা খেলো ক্ষমতাসীন ‘মুভমেন্ট টুওয়ার্ড সোশ্যালিজম’ (MAS) দল, যারা প্রায় ২০ বছর ধরে বলিভিয়ার রাজনীতিতে প্রভাবশালী। দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এভো মোরালেস একসময় লাতিন আমেরিকার ‘পিংক টাইড’ আন্দোলনের প্রতীক ছিলেন। কিন্তু এবারের সরকারি এমএএস প্রার্থী এদুয়ার্দো দেল কাস্তিয়ো ভোট পেলেন মাত্র ৩.২%। আরেক তরুণ বামপন্থী নেতা, সিনেট সভাপতি আন্দ্রিনিকো রদ্রিগেজ পেলেন ৮% ভোট।

অপ্রত্যাশিতভাবে এগিয়ে আসা রদ্রিগো পাজকে বিশ্লেষকরা বলছেন—বলিভিয়ানরা পুরোপুরি ডানপন্থী শিবিরে ফিরতে চান না। ডানপন্থীদের প্রস্তাবিত কৌশল—লিথিয়াম বিদেশি কোম্পানিকে বিক্রি ও আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে সমালোচনা করেছেন।

প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসায়ী স্যামুয়েল দোরিয়া মেদিনা চতুর্থবারের মতো ব্যর্থ হলেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। তিনি সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে সেবা করতে। তা সম্ভব হয়নি, তবে কোনো অনুতাপ নেই।’

এই ভোটের ফলাফলে এখন প্রশ্ন—১২ কোটি মানুষের দেশটি কোন পথে যাবে, যখন তারা তীব্র জ্বালানি সংকট, দ্বিগুণ অঙ্কের মুদ্রাস্ফীতি এবং মার্কিন ডলারের ঘাটতিতে ভুগছে।

সূত্র: সিএনএন নিউজ।

/এআই

Exit mobile version