Site icon Jamuna Television

ফিলিস্তিন ইস্যুতে তীব্র বাগযুদ্ধ ইসরায়েল-অস্ট্রেলিয়ার

ফিলিস্তিন ইস্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র বাগযুদ্ধে জড়িয়েছে ইসরায়েল ও অস্ট্রেলিয়া। ইহুদিদের প্রতি সমর্থন তুলে নিয়েছে ক্যানবেরা, এমন অভিযোগ করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। অপরদিকে, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজকে বিশ্বাসঘাতক ও দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন তিনি। তবে সব চাপ উপেক্ষা করে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির পক্ষে অনড় থাকার ঘোষণা দিয়েছেন আলবানিজ।

মূলত, দশকের পর দশক ইসরায়েলের মিত্র হিসেবেই বিবেচিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বিপত্তি বাধে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত ঘিরে। গত সপ্তাহে ক্যানবেরা এমন পদক্ষেপের ঘোষণা দিলে চটে যান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এরপরই শুরু হয় কূটনৈতিক বিবাদ। সম্প্রতি ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন জোটের এক কট্টরপন্থি সদস্যের অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। জবাবে ফিলিস্তিনে নিযুক্ত অস্ট্রেলীয় প্রতিনিধিদের ভিসা বাতিল করে তেলআবিব। এছাড়া, অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো সরকারি ভিসার আবেদন সতর্কভাবে পরীক্ষার নির্দেশ দেয়া হয় ক্যানবেরায় অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাসকে।

এখানেই শেষ নয়। এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) অস্ট্রেলিয়ান প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাসঘাতক ও দুর্বল বলে মন্তব্য করেন নেতানিয়াহু।

অবশ্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বোমা মেরে মানুষ হত্যা আর শিশুদের অভুক্ত ফেলে রাখার মধ্যে শক্তির পরিচয় প্রকাশ পায়না— এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বলেন, আমি এসব ব্যক্তিগতভাবে নেইনা। কেবল বলতে চাই অবশ্যই বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে এবং মানুষ এই সহিংসতার শেষ দেখতে চায়। অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান অপরিবর্তনীয় থাকবে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টনি ব্রুক বলেন, মানুষ উড়িয়ে দেয়া বা কত শিশুকে অভুক্ত রাখছেন তার ওপর শক্তি নির্ভর করেনা। বরং প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ যা করেছেন সেটাকেই শক্তি বলে। বরং প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ যা করেছে তাকে বলে। ফিলিস্তিনি জনগণের কথা বলা, স্বীকৃতির আশ্বাস দেয়াই হলো শক্তির পরিচয়।

চলতি আগস্টের শুরুতেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতির ঘোষণা দেয় অস্ট্রেলিয়া। জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্যরাষ্ট্রের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্চছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডাও।

/এমএইচআর

Exit mobile version