
স্টাফ করেসপনডেন্ট, পটুয়াখালী:
বিচারকের বাসায় ঘুষ পাঠানোর অভিযোগে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সরকারি কৌশলী (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিনের সদস্যপদ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি।
বিচারক নীলুফার শিরিনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে আইনজীবী সমিতির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ সময়, উপস্থিত ছিলেন ১৮৪ জন সদস্য।
এর আগে, গতকাল সকালে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক নীলুফার শিরিন ঢাকা বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগে একটি মামলায় আসামীদের জামিনের জন্য সুপারিশ করে তার বাসায় ঘুষ পাঠানোর অভিযোগ আনেন। লিখিত আবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেল, আইন মন্ত্রনালয়ের সচিব এবং পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অনুলিপি দেন।
লিখিত অভিযোগ বিচারক নীলুফার শিরিন উল্লেখ করেন, তার আদালতে বিচারাধীন একটি ধর্ষণ মামলার আসামির পক্ষে অভিযোগ দায়েরের ২ দিন আগে থেকে পিপি মো. রুহুল আমিন হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ দেন, যার কোন রিপ্লাই তিনি দেননি। পরে ২০ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে পিপি রুহুল আমিনের একজন লোক তার বাসার গৃহকর্মীর নিকট একটি লাল ব্যাগ দেন, যার মধ্যে দুটি প্যাকেট ছিল। এরমধ্যে ২টি খাকি রঙের খাম, যার মধ্যে একটিতে উল্লিখিত মামলার যাবতীয় কাগজপত্র এবং অন্যটিতে ৫০০ টাকার নোটের একটি বান্ডিল। এমতাবস্থায় ওই পিপির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
অপরদিকে, পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র। ওই মামলাটি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল। তাই আমি বিচারককে বিষয়টি অবহিত করেছি মাত্র।
/এএইচএম



Leave a reply