Site icon Jamuna Television

যশোরে দুটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে উপজেলা পরিষদ ঘেরাও ও বিক্ষোভ

যশোর করেসপনডেন্ট:

যশোরের দুইটি সংসদীয় আসনের সীমানা অপরিবর্তিত রেখে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে যশোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। আসন দুটি হলো যশোর-৩ ও যশোর-৬।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শহরের পূর্বাংশের প্রবেশদ্বার বকচর থেকে শুরু হয়। মিছিলটি মণিহারের সামনে এসে শেষ হয়।

এর আগে, বুধবার জেলা বিএনপি একই দাবিতে জেলা নির্বাচন অফিস ঘেরাও, নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি, গণমিছিল এবং সংবাদ সম্মেলন করে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আসন পুনর্বিন্যাসের নামে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে তারা যশোরের চিরায়ত নির্বাচনি সংস্কৃতি, পরিবেশ ও সম্প্রীতিকে বিনষ্টের চক্রান্ত করছে। এটা কোনোভাবেই যশোরবাসী মেনে নিতে পারে না।

তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে তা যে একতরফা তা এই জেলার মানুষের মতামত গ্রহণ না করার মধ্য দিয়ে তারা প্রমাণ করেছে। এই পরিকল্পনা থেকে অবশ্যই দ্রুত তাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। বক্তারা আগামী ফ্রেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জারুল হক খোকন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনছারুল হক রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা আমীর ফয়সালসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এদিকে, সকালে একই দাবিতে মনিরামপুর উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

মূলত, যশোর-৬ আসনের সীমানা পুর্নগঠনের জন্য গত ৬ আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডল। প্রস্তাবিত ৯০ নং নির্বাচনী এলাকা যশোর-৬ আসনে অভয়নগর উপজেলা, মণিরামপুরের ৬টি ইউনিয়ন-ঢাকুরিয়া, হরিদাসকাটি, কুলটিয়া, দুর্বাডাঙ্গা, নেহালপুর ও মনোহরপুর এবং কেশবপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন-সুফলাকাটি, পাঁজিয়া ও গৌরিঘোনা অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রস্তাবিত যশোর-৬ আসন বাস্তবায়ন করতে হলে কেশবপুর উপজেলাকে যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। আর যশোর-৪ আসনে বাঘারপাড়ার সঙ্গে সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন সংযুক্ত করে সংসদীয় আসন করতে হবে। এতে যশোর-৩ (সদর) আসনের ৫টি ইউনিয়ন কেটে যাবে।

এমন পরিবর্তনের আভাসকে মেনে নিতে পারছে না এলাকাবাসী। প্রতিবাদে কর্মসূচির পালন করেছে জেলা বিএনপি।

/এমএইচআর

Exit mobile version