
ভ্লাদিমির পুতিন ও ভোলদেমির জেলেনস্কির সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। জেলেনস্কির দাবি, যুদ্ধ বন্ধ করতে চায় না রাশিয়া। তাই তার সাথে মুখোমুখি সাক্ষাৎ এড়িয়ে যেতে চাইছেন পুতিন। যদিও মস্কো বলছে, বৈঠকের জন্য প্রস্তুত পুতিন। এজেন্ডা নির্ধারণের পরই তাতে অংশ নেবেন তিনি। এদিকে, দুই সপ্তাহের মধ্যে সংকট সমাধানে অগ্রগতি না হলে মস্কোর ওপর বড় ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর, রয়টার্সের।
মূলত, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কির সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পর তৈরি হয়েছিলো সাড়ে তিন বছরের ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপক সম্ভাবনা। বিবদমান পক্ষগুলোর পাল্টাপাল্টি অবস্থানে এখন সেই সম্ভাবনা সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে কমছে।
জেলেনস্কির দাবি, যুদ্ধ বন্ধ করতে চায় না রাশিয়া। আর তাই, তার সাথে সাক্ষাৎ এড়িয়ে যাওয়ার সব চেষ্টাই করছেন পুতিন।
জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দরকার, যাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এটি নিশ্চিত হয় যে রাশিয়া আমাদের ওপর হামলা চালাবে না। আমার মনে হয় রাশিয়া এখনও আগের অবস্থানেই রয়েছে। তারা এই যুদ্ধ শেষ করতে চায় না। তাই মস্কো বৈঠক এড়াতে সব চেষ্টাই করছে।
রাশিয়া অবশ্য বলছে, জেলেনস্কির সাথে সাক্ষাতের জন্য প্রস্তুত রুশ প্রেসিডেন্ট। তবে, এরজন্য আগেই নির্ধারিত করতে হবে এজেন্ডা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের অভিযোগ, ন্যাটোর সদস্যপদ না পাওয়া, ভূখণ্ড অদল-বদলসহ যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সেগুলোতে ছাড় দিতে রাজি নন জেলেনস্কি।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, তিনি বৈঠকের জন্য প্রস্তুত। তবে, পুতিন-জেলেনস্কির সাক্ষাতের কোনো পরিকল্পনা করিনি আমরা। যুক্তরাষ্ট্রও বিশ্বাস করে কিছু বিষয় সবার মেনে নেয়া উচিত। কিন্তু, ওয়াশিংটনে জেলেনস্কি সেগুলো মানতে অপারগতার কথা জানিয়েছে।
এদিকে, যুদ্ধ বন্ধের তৎপরতায় কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়ায় অসন্তুষ্ট মার্কিন প্রেসিডেন্টও। ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি, দুই সপ্তাহ পর পরিস্থিতি বিবেচনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় ধরণের পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, আমি পুতিনকে বলেছি, এই যুদ্ধ নিয়ে আমি একদমই খুশি নই। দেখা যাক কি হয়, আমার মনে হয় আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই আমরা খুঁজে বের করতে পারবো এটি কোন দিকে যাবে। এরপর তাদের ওপর বড় ধরণের নিষেধাজ্ঞা ও শুল্কারোপের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
ক্রেমলিনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স দাবি করেছে, যুদ্ধ বন্ধের জন্য তিনটি শর্ত দিয়েছেন পুতিন। দোনবাস পুরোপুরি রাশিয়ার হাতে তুলে দিতে হবে। পাশাপাশি, ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না, আর দেশটিতে মোতায়েন করা যাবে না পশ্চিমা সেনা।
/এমএইচআর



Leave a reply