Site icon Jamuna Television

ডাকসু নির্বাচনে ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারেন নারী ভোটাররা

ফাইল ছবি।

সুমাইয়া ঐশী:

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ৩৮তম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবার ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রার্থী ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় ৪৬২ জন রয়েছেন। এরইমধ্যে ভোটার তালিকাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এবারের ডাকসু নির্বাচনে ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে নারী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। যা মোট ভোটারের ৪৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৮টি হলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটার রোকেয়া হলে। তাই এবারের ভোটে নারীরাই ডাকসুর চিত্র বদলে দিতে পারে।

নারী ভোটাররা জানান, তারা হলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান চান। এর মধ্যে আবাসন সংকটের সমাধান ও মানসম্মত খাবার অন্যতম।

একজন নারী ভোটার বলেন, হলে আবাসন নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এছাড়া, সুপেয় পানি ও পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থাও নেই। আরেকজন বলেন, হলের সমস্যাগুলো যারা সমাধান করতে পারবে আমরা তাদেরকেই ভোট দেব।

এদিকে, নারী ভোটারদের কথা চিন্তা করে প্রার্থীরাও সতর্ক। তাই ভোটারদের ভালো-মন্দের বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছেন তারা।

প্রতিরোধ পর্ষদ থেকে ভিপি পদপ্রার্থী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি বলেছেন, নির্বাচিত হতে পারলে নারীদের আবাসন নিয়ে কাজ করবো। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা সমান হলেও ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের হল অর্ধেকেরও কম। ফলে নারী শিক্ষার্থীরা আবাসন সংকটে বেশী পড়ে থাকেন।

একজন নারী ভোটার বলেন, বামরা পোশাকের স্বাধীনতা চাচ্ছে। এটি সবক্ষেত্রে থাকতে হবে। শিবির নির্বাচিত হলেও যেন সেই স্বাধীনতা থাকে।

ছাত্রদল থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম বলেন, নির্বাচিত হলে প্রথমেই আমরা নারীদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবো। পাশাপাশি নারীদের হলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করবো। তাছাড়া, হেল্পলাইনেরও ব্যবস্থা করা হবে।

ডাকসু ফর চেঞ্জ প্যানেল থেকে জিএস পদপ্রার্থী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য একটা সিট ও একটা টেবিল নিশ্চিত করতে কাজ করবো। খাবারের মান উন্নত ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করার কথাও বলেন তিনি।

নারী ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবকিছুর আগে ক্যাম্পাসে নিজেদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।

/আরএইচ

Exit mobile version