Site icon Jamuna Television

এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্লাস্টার মিউনিশনযুক্ত মিসাইল ছুড়লো হুতি

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্লাস্টার মিউনিশনযুক্ত মিসাইল ব্যবহার করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। গত শুক্রবার তেল আবিবে চালানো হামলায় মারাত্মক এই যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী— আইডিএফ। কয়েক ধাপের আকাশ প্রতিরক্ষা থাকা সত্ত্বেও ক্ষেপণাস্ত্রটি ঠেকাতে ব্যর্থ হয় তারা।

মূলত, চার ধরণের প্রতিরক্ষা ফাঁকি দিয়ে ইসরায়েলে আঘাত হানে হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া একটি মিসাইল। ব্যর্থ হয়েছে মার্কিন প্রযুক্তির থাড, আলোচিত আয়রন ডোম, অ্যারো, ডেভিড স্লিংয়ের মতো শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। গভীর রাতে সবাই যখন ঘুমে তখনই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে তেল আবিব।

এরপরপরই আলোচনায় আসে ক্ষেপণাস্ত্রটি। ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, হামলায় ব্যবহার করা হয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্লাস্টার ওয়ারহেড যুক্ত মিসাইল। প্রায় দুই বছরের সংঘাতে এবারই প্রথম ক্লাস্টার মিসাইল ব্যবহারের নজির গড়লো হুতি বিদ্রোহীরা।

কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যালিস্টিক মিসাইলের চেয়েও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে আধুনিক সমরাস্ত্রটি। মাটির ৭-৮ হাজার মিটার উচ্চতায় ছোট ছোট ওয়ারহেড কিংবা সাবমিউনিশনে বিভক্ত হয় ক্লাস্টার বোমা। যা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায়। ঘটতে থাকে একের পর এক বিস্ফোরণ।

বেশকিছু ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বিশ্লেষণ বলছে, ক্লাস্টার বোমার এ বৈশিষ্ট্যের কারণেই হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল। ছোট ছোট খন্ডে বিভক্ত হওয়ার পূর্বে ধ্বংস করা যায়নি হুতির ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি।

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের মতো কিছু পরাশক্তির কাছেই রয়েছে এই ক্লাস্টার বোমা। সম্প্রতি, ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েলে ক্লাস্টার ওয়ারহেডযুক্ত ব্যালিস্টিক মিসাইল হামলা চালায় ইরান। ধারণা করা হচ্ছে, তেহরানের কাছ থেকেই অস্ত্রটি হাতে পেয়েছে হুতিরা।

/এমএইচআর

Exit mobile version