Site icon Jamuna Television

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টসহ দেশটির ৮০ কর্মকর্তাকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদের যোগদান ঠেকাতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিলো যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস’সহ ৮০ কর্মকর্তার ভিসা প্রত্যাখ্যান ও বাতিল করেছে দেশটি। এর ফলে আগামী মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদের অংশ নেয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এই অধিবেশনেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ প্রভাবশালী বেশ কয়েকটি দেশ।

ঘটনার শুরু গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন। পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান ও গাজা পরিস্থিতির জন্য পুরো বিশ্বকে দায়ী করেছিলেন তিনি।

মূলত চলতি বছর সাধারণ পরিষদের অধিবেশন আসন্ন। নিউইয়র্কে সেপ্টেম্বরের বৈঠকের প্রায় সব আয়োজন সম্পন্ন। এবারের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার কথা ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ প্রভাবশালী বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রের। এমন সময়ই ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদের ভিসা প্রত্যাখ্যান ও বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসসহ ৮০ জন।

জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদান আটকে তো দিয়েছেই, উল্টো ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের ওপরই দোষ চাপিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শান্তি প্রক্রিয়া অগ্রাহ্য করে একতরফাভাবে অনুমাননির্ভর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি চাইছে পিএ। জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতও দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তবে অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল। তবে বিস্মিত ফিলিস্তিন। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি রিয়াদ মনসুর বলেন, মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের বিবৃতি নজরে এসেছে। কিভাবে এটি আমাদের প্রতিনিধিদের জন্য কার্যকর হয়- তা খতিয়ে দেখবো। এরপর জানাবো প্রতিক্রিয়া।

জাতিসংঘের হেডকোয়ার্টার্স চুক্তির বিরোধী এবং আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সাংঘর্ষিক মার্কিন পদক্ষেপ- জানিয়েছেন সংস্থাটির মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিচ। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সাথে আলোচনা করবো। হেডকোয়ার্টার্স এগ্রিমেন্ট ভালোভাবে পড়া দরকার। বিশেষ করে ১১ ও ১২ ধারা। আশা করছি সমাধান হবে। সব সদস্য রাষ্ট্র ও পর্যবেক্ষক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

১৯৭৪ সাল থেকেই জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকের স্ট্যাটাসপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি লিবারেশন অর্গানাইজেশন, পিএলও। অধিবেশনে অংশ নিলেও ভোট দিতে পারে না তারা। তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে। জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে এ পর্যন্ত ১৪৭টি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে ফিলিস্তিনকে।

/এমএইচআর

Exit mobile version