তিন দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আমরণ অনশন করছেন বিসিএস (নন-ক্যাডার) চাকরিপ্রত্যাশীরা।
দাবি তিনটি হলো নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) (সংশোধন) বিধিমালা, ২০২৫ গেজেট আকারে প্রকাশ করা, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদসহ বিসিএস নন-ক্যাডারের নামে অধিযাচনকৃত পদসমূহ প্রত্যাহার করে পৃথক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বন্ধ করা এবং বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে আগের মতো পদ বৃদ্ধি করে অধিকসংখ্যক প্রার্থী সুপারিশের ধারা অব্যাহত রাখা। মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা উপায়ে দাবি জানিয়েও তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় তাঁরা অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন।
চাকরিপ্রত্যাশীদের অভিযোগ, ২০২৩ সালে বিধিমালা প্রণয়ন করে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে নন ক্যাডার পদে নিয়োগের সুযোগকে সংকুচিত করা হয়। পরে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনের মুখে বর্তমান সরকার বিধি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু নিয়োগ বাণিজ্য সিন্ডিকেটের কারণে এখনও তা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়নি বলে অভিযোগ অনশনকারীদের। পাশাপাশি বিসিএস এবং নন ক্যাডারে আগের মতো পদ বৃদ্ধি করে বেশি সংখ্যক প্রার্থী সুপারিশের ধারা অব্যাহত রাখার দাবি জানান তারা।
অনশনকারীরা আরও অভিযোগ করেন, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদে সরাসরি নিয়োগের তোড়জোড় করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর। আন্দোলনকারী শাহ মুস্তাহিদুর রহমান বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন দ্রুত নিয়োগ দিতে। এখন যদি আলাদা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, তাহলে সময় লাগবে দুই বছর। অথচ বিসিএস নন–ক্যাডার থেকে নিলে সময় লাগবে এক মাস। সিন্ডিকেট বাণিজ্যের কারণে এমনটা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার থেকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশন শুরু করেন বিসিএস পাস নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশীরা, যা এখনও চলমান। অনশনের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকজন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
/এএইচএম

