রিমন রহমান:
মাছে ভাতে বাঙ্গালি— প্রচলন আছে এই প্রবাদ। তবে চালের সঙ্গে এখন বেড়েছে আটার চাহিদা। হঠাৎ করেই পাইকারি পর্যায়ে বেড়েছে এই খাদ্য পণ্যের দাম। খুচরা দোকানেও তার প্রভাব পড়েছে। এতে অস্বস্তিতে পড়েছেন ভোক্তারা।
প্রতি কেজি খোলা আটার দাম কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকার বেশি। পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি আটা বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০ টাকায়। পণ্যের ঘাটতি না হলেও বাড়ছে দাম।
প্যাকেট করা আটার দামও বেড়েছে। যদিও প্যাকেটের গায়ে দাম বৃদ্ধি করা হয়নি। ব্যবসায়ী পর্যায়ে কমিয়ে দেয়া হয়েছে লাভের অঙ্ক। কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে প্যাকেট ময়দার দামও।
বলা হচ্ছে, ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের চাপে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি দামে গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বেসরকারি পর্যায়েও দেশটি থেকে বাড়িয়েছে আমদানি। বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গমের দাম বেশি। তাই বেড়েছে আটার দাম।
উল্লেখ্য, দেশে গমের চাহিদা ৮৫ লাখ টন। উৎপাদন হয় ১২ লাখ টন। ঘাটতি মেটাতে রাশিয়া, ইউক্রেন ও ভারত থেকেই এতদিন আমদানিতে নির্ভরতা ছিল।
/এমএন

