Site icon Jamuna Television

নার্সের সঙ্গে ত্রিমুখী প্রেম, পিএসের হাতেই খুন হন ডা. আমিরুল: নাটোর এসপি

নাটোরে চাঞ্চল্যকর ডা. এএইচএম আমিরুল ইসলাম হত্যার তদন্তের সবশেষ পরিস্থিতি জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন। তিনি বলেন, হাসপাতালের একজন নার্সের সঙ্গে ডা. আমিরুল ও ব্যক্তিগত সহকারী আসাদের ত্রিমুখী প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। সেই বিরোধের জেরেই ব্যক্তিগত সহকারী আসাদের হাতে খুন হন ডা. আমিরুল।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন বলেন, আমিরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পারিপার্শ্বিক ও প্রযুক্তিগত বিষয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তাতে দেখা যায় ব্যক্তিগত সহকারী আসাদ বোরকা পড়ে ডা. আমিরুলের ঘরের খাটের নিচে অবস্থান নেয়। পিএস হওয়ায় আসাদ তার সব গতিবিধি সমন্ধে জানত। একপর্যায়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়লে ছুড়ি দিয়ে তাকে হত্যা করে আসাদ। হত্যার পর ভোর ছয়টার দিকে বোরকা পড়ে সে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসাদ সব স্বীকার করেছে। আসাদ জানায়, ডা. আমিরুল তাকে ও ওই মেয়েকে মারধর করে। একপর্যায়ে তাকে চাকরি থেকে বের করে দেয়া হয়। সেই ক্ষোভের কারণেই ডা. আমিরুলকে হত্যা করা হয়। তবে আমিরুলকে পঙ্গু করার পরিকল্পনা ছিল বলেও জানায় আসাদ।

আমজাদ হোসাইন বলেছেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। আসাদকে আদালতে পাঠানো হবে। সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছে। প্রমাণ সাপেক্ষে হেফাজতে থাকা বাকিদেরও গ্রেফতার দেখানো হবে।

/আরএইচ




Exit mobile version