Site icon Jamuna Television

দুর্বল ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের উদ্যোগ, দুশ্চিন্তায় শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা

আলমগীর হোসেন:

দুর্বল ৯ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে, এমন খবরে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা। তারা বলছেন, প্রতিষ্ঠান বন্ধের আগে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দিতে হবে। যদিও আইনে বিনিয়োগকারীদের বিষয়ে পরিস্কার কিছু বলা নেই। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আলোচনা করা উচিৎ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বন্ধ হওয়ার তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে এফএএস ফাইন্যান্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, বিআইএসফি, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, পিপলস্‌ লিজিং, আভিভা ফাইন্যান্স, প্রাইম ফাইন্যান্স, প্রিমিয়ার লিজিং ও জিএসপি ফাইন্যান্স। এগুলোর মধ্যে ৮টি কোম্পানিই পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে বিনিয়োগ রয়েছে অনেকেরই। বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর তলানিতে থাকা এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম আরও কমেছে।

ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী বলেছেন, আটটি কোম্পানিই তো তালিকাভুক্ত। সেখানে তো প্রচুর পরিমাণে বিনিয়োগকারী আছেন এবং তাদের ভালো বিনিয়োগ আছে। এইটার কথা কি বিএসইসি চিন্তা করছে? বিনিয়োগকারীযাদের যাতে ক্ষতি না হয় সেই জায়গায় কোনও সিদ্ধান্ত কিংবা চিন্তা-ভাবনা আছে? তার কারণ ডিলিস্টিং রেগুলেশন যেটা আছে ডিএসসিতে, সেটার মধ্যে কোনও প্রোটেকশন নাই। বিএসইসিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে বসে একটা রাস্তা বের করতে হবে কীভাবে বিনিয়োগকারীদেরকে রক্ষা করা যেতে পারে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে বিএসইসির সাথে আলোচনা করার কথা। কিন্তু বিএসইসি বলছে, বিষয়টি এখনও জানানো হয়নি তাদের। প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে আইন অনুযায়ী বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেয়ার কথা জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

বিএসইসির মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন, তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে বিএসইসিকে তারা এটা জানাবে। তো আমরা যখন তাদের কাছ থেকে অফিশিয়ালি এই বিষয়গুলো জানতে পারবো তখন আইনে যেটা দেয়া হয়েছে তা অনুযায়ী বিনিয়োগকারীর স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য যেটা করণীয় সেটা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, শেয়ারে বিনিয়োগকারীরাও কোম্পানির মালিক। ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রেও তাদেরকে সেভাবেই বিবেচনায় নেয়া হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, মূল কথা হলো যে লিকুইডেশন করা হবে লিকুইডেশন ল অনুযায়ী। এই ল’তে উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী, আমানতকারী যেখানে যার যতটুকু দায় এবং যতটুকু মানে সম্পদ ভোগ করার কথা সে অনুপাতেই তাদেরকে দায়ও বহন করতে হবে।

কোম্পানির অবসায়নের ক্ষেত্রে সবার আগে আমানতকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

/এমএন

Exit mobile version