Site icon Jamuna Television

আজ রাতেই শেষ হচ্ছে ডাকসুর প্রচারণা

ফাইল ছবি।

আজ রাত ১১টায় শেষ হচ্ছে ডাকসু নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। তাই শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। জানাচ্ছেন প্রতিশ্রুতি আর নানা কর্ম-পরিকল্পনা। তবে শেষ সময়ে এসেও সুষ্ঠু ভোট আর নানামুখী ষড়যন্ত্র নিয়ে শঙ্কিত প্রার্থীরা। কেউ আবার শঙ্কায়, নারী ভোটারদের ভোট দেয়ার সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে। তবে নির্বাচনী আমেজ উপভোগ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

গতকাল ছুটির দিন হওয়ায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীর আনাগোনা কম। তাই সারাদিন প্রচারণা চলেছে মূলত হলকেন্দ্রিক। দিনের শুরুতে হাজী মুহম্মদ মহসিন হলে প্রচারণা শুরু করেন ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, অতীতের অপরাজনীতির সংস্কৃতি ফেলে সুস্থ ও একতার রাজনৈতিক চর্চা দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থীকে নারী কিংবা পুরুষ হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবে কাউন্ট করাই আমাদের সবচেয়ে বড় টার্গেট হবে। এ সময় নির্বাচিত হলে নারী হেনস্তা রোধে বিশেষ সেল গঠনের কথাও বলেন তিনি।

অপরদিকে, হলের শিক্ষার্থীদের কাছে যান স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা। নারী ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনার চ্যালেঞ্জগুলো তুলে আনেন তিনি।

উমামা ফাতেমা বলেন, আমরা আশা করি মেয়েরাও গণহারে ভোট দিতে আসবে। আমরা এ বিষয়টি বেশি করে উৎসাহিত করছি।

এদিন, অমর একুশে হলে শিক্ষার্থীদের সাথে দেখা করেন এস এম ফরহাদ এবং আবু বাকের মজুমদার। এ সময়, সাংবাদিকদের কাছে সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা।

বিকেলে মধুর ক্যান্টিনে জরুরি ব্রিফিং করেন স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থী তাহমীদ আল মুদ্দাসসীর চৌধুরী। তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণ, রাজনৈতিক প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক। অপরদিকে, বিকেলে ভোটের পরিবেশ ও নানা বিষয় নিয়ে চীফ রিটার্নিং অফিসার বরাবর অভিযোগপত্র দেয় ছাত্রদল।

আজ প্রচারণা শেষে হাতে থাকবে মাত্র একদিন। এরপর মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচন। সব কিছুকে ছাপিয়ে নির্বাচন হবে সুষ্ঠু-সুন্দর ও দৃষ্টান্তমূলক এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

/এএইচএম

Exit mobile version