সংযুক্ত আরব আমিরাতের হুমকির পর পশ্চিম তীরে সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার চিন্তা থেকে সরে এসেছে ইসরায়েল— একাধিক ইসরায়েলি কর্মকর্তার বরাতে এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিভিন্ন গণমাধ্যম। বলা হচ্ছে, এরইমধ্যে আবুধাবির স্বীকৃতি হারানোর ভয়ে সরকারের এজেন্ডা থেকে পশ্চিম তীরকে মানচিত্রে যুক্ত করার ইস্যুটি বাদ দিয়েছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
মূলত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম দফার ক্ষমতার শেষ দিকে ২০২০ সালে উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। আব্রাহাম অ্যাকর্ডের আওতায় সেসময় পশ্চিম তীরে নতুন বসতি স্থাপন না করার শর্ত দিয়েছিলো আবুধাবি।
প্রায় দুই বছর ধরে গাজার পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও ব্যাপক বর্বরতা চালাচ্ছে ইসরায়েল। একের পর এক দেশ যখন ফিলিস্তিনিকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিচ্ছে, তখন অঞ্চলটির বেশিরভাগ এলাকা নিজেদের মানচিত্রে যুক্ত করার পাঁয়তারা শুরু করে নেতানিয়াহু সরকার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নিন্দা ও বিরোধিতা উপেক্ষা করেই পশ্চিম তীরের অন্তত ৮২ শতাংশে সার্বভৌমত্ব স্থাপনের রূপরেখা চুড়ান্ত করার দাবিও করেন দেশটির কট্টরপন্থি রাজনীতিক বেজালেল স্মোরিচ।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, আপাতত পশ্চিম তীরে নতুন দখলদারিত্বের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন নেতানিয়াহু। এমনকি গত বৃহস্পতিবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগে এজেন্ডা থেকে এই ইস্যু বাদ দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে ইসরায়েল সরকারের একাধিক কর্মকর্তা।
গোপন চ্যানেলে বেশ কয়েকবার সতর্ক করার পর, গত সপ্তাহে অ্যাব্রাহম অ্যাকর্ড অবমাননার অভিযোগ তুলে সম্পর্ক ছিন্নের হুঁশিয়ারি দেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, জোটের কট্টরপন্থি শরিকদের চাপ সত্ত্বেও আবুধাবির কঠোর বার্তায় পিছু হটেছে তেলআবিব প্রশাসন।
বলা হচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত আব্রাহাম চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলে নেতানিয়াহুর সাথে ডোনাল্ড ট্রাম্পের টানাপোড়েন বাড়তে পাড়ে। পশ্চিম তীর ইস্যুতে তেলআবিব পিছু হটার পর প্রশ্ন উঠছে— গাজায় আগ্রাসন বন্ধে কেন একই পদক্ষেপ নিচ্ছে না সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের মতো দেশগুলো।
/এমএইচআর

