Site icon Jamuna Television

পোল্যান্ডের আকাশসীমায় রাশিয়ান ড্রোন

পোল্যান্ডের সেনাবাহিনী স্থানীয় সময় বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে জানিয়েছে, প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের সময় যে ড্রোনগুলো পোলিশ আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল, সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

পোল্যান্ডের অপারেশনাল কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে এবং ড্রোনগুলো চিহ্নিত ও খুঁজে বের করার কাজ চলছে।’

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সামরিক অভিযান চলছে এবং নাগরিকদের ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ড্রোনের ধরন বা সংখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়নি।

পোল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য দেশ, যা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্তঃমহাদেশীয় প্রতিরক্ষা চুক্তির অংশ। এই চুক্তিতে বলা আছে, এক দেশের ওপর আক্রমণ মানে সবার ওপর আক্রমণ।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছে, তিনি পোল্যান্ডে রাশিয়ার ড্রোন সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে ব্রিফিং পেয়েছেন।

ইতোমধ্যে, পোলিশ কর্তৃপক্ষ ওয়ারসা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করেছে এবং সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে পোলিশ ও ন্যাটো বিমান মোতায়েন করা হয়েছে।

মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানায়, ওয়ারসা চোপিন বিমানবন্দর এবং পোল্যান্ডের আরও দুইটি বিমানবন্দর ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত অপ্রত্যাশিত সামরিক কার্যক্রমের কারণে’ বন্ধ রয়েছে।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী প্রথমে টেলিগ্রাম পোস্টে জানিয়েছিল যে ড্রোনগুলো পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে এবং পোল্যান্ডের জামোস শহরের দিকে আগ্রসর হচ্ছে। তবে পরে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়।

ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অন্তত একটি ড্রোন পশ্চিম পোল্যান্ডের রজেসজো শহরের দিকে এগোচ্ছে।

রজেসজো–যাসিওনকা বিমানবন্দরও সামরিক কার্যক্রমের এখন কারণে বন্ধ করা হয়েছে। এই বিমানবন্দর ন্যাটোসহ ইউক্রেনকে সাহায্য পাঠানোর জন্য ব্যবহার করা হতো। লুবলিন বিমানবন্দরও সামরিক কার্যক্রমের কারণে বন্ধ ছিল।

পোল্যান্ড পূর্ব সীমান্তে রাশিয়া-সমর্থিত বেলারুশের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে। গত শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে রাশিয়া ও বেলারুশ যৌথ ‘জাপাদ-২৫’ মহড়া শুরু করবে, যা পোল্যান্ডসহ ন্যাটো দেশের নিরাপত্তার উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

সূত্র: সিএনএন নিউজ।

/এআই

Exit mobile version