Site icon Jamuna Television

মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েল সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

গাজায় চলমান যুদ্ধে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করার ইসরায়েল যাচ্ছেন জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। স্থানীয় সময় শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তিনি ইসরায়েলের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন টমি পিগগট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইসরায়েল-হামাস সংঘাত ও মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আমেরিকার অগ্রাধিকারগুলো তুলে ধরতে এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা প্রতি মার্কিন কমিটমেন্ট পুনর্ব্যক্ত করার উদ্দেশ্যে এই রুবিও এই সফরে গিয়েছেন।’

এই সফরটি দীর্ঘদিনের মিত্র দেশের মধ্যে উত্তেজনার মুহূর্তে হচ্ছে। এর আগে, সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েল কাতারে হামাস নেতাদের হত্যার চেষ্টা করেছিল। শান্তি আলোচনা চলাকালীন এই বিমান হামলা কাতারের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য প্রধান মিত্রদের ক্ষুব্ধ করেছে।

কাতারে হামলার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ইসরায়েলের হামলায় অত্যন্ত অসন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে খুব অসন্তুষ্ট ছিলাম, প্রতিটি দিকেই অসন্তুষ্ট এবং আমাদের বন্দিদের ফিরে আনতে হবে।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারে হামাস থাকার প্রেক্ষিতে আরও হামলার হুমকি দিয়েছেন। মূলত, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে বহু বছর ধরে হামাসকে আশ্রয় দিচ্ছে কাতার। সেই সঙ্গে মিসরও হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতা করছে।

নেতানিয়াহু বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বলেন, ‘আমি কাতারসহ সকল দেশের উদ্দেশ্যে বলছি যারা উগ্রবাদীদের আশ্রয় দেয়, আপনারা তাদের বের করুন বা বিচার নিশ্চিত করুন। যদি না করেন, আমরা করবো।’

কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-থানি শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন। তিনি ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে যুদ্ধ শেষ করার আলোচনাকে ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ করেন। আল-থানি পরে রুবিও ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্সের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন।

সূত্র: সিএনএন নিউজ, এনবিসি নিউজ।

/এআই

Exit mobile version