Site icon Jamuna Television

হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স: বাংলাদেশের অবস্থানে ৩ ধাপ অগ্রগতি

সারাবিশ্বের পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া কয়টি দেশে যাতায়াতের সুযোগ পান তার ওপর ভিত্তি করে হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স প্রকাশ করা হয়। যে পাসপোর্ট দিয়ে যত বেশি সংখ্যক দেশ বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যায় সেই পাসপোর্টকে ততো বেশি শক্তিশালী হিসেবে মনে করা হয়।

এ হিসাবে ২০১৯ সালের সবচেয়ে প্রভাবশালী পাসপোর্ট নির্বাচিত হয়েছে জাপান। এশিয়ার এই দেশের নাগরিকরা ১৯০টি রাষ্ট্রে ভিসা ছাড়াই যেতে পারেন। বিশ্বের আর কোনও দেশের পাসপোর্টধারীদের জন্য এমন সুবিধা নেই। ফলে জাপান একাই শীর্ষে আছে তালিকায়।

এই তালিকায় বাংলাদেশ গত বছরের চেয়ে ৩ ধাপ এগিয়ে এবার ৯৭ তম অবস্থানে আছে (যদিও বাংলাদেশি পাসপোর্টে বিনা ভিসায় ভ্রমণের অনুমতি থাকা দেশের সংখ্যা আগের র‍্যাংকিংয়ের চেয়ে বাড়েনি)। ৪১ দেশে বিনা পাসপোর্টে প্রবেশানুতি নিয়ে যৌথভাবে বাংলাদেশের সাথে ৯৭ তম অবস্থানে আছে লেবানন, লিবিয়া এবং সাউথ সুদান। বাংলাদেশের পরে আর মাত্র ৭টি অবস্থান রয়েছে (১০৪ পর্যন্ত)। বিশ্বের মোট ১৯৯টি পাসপোর্টের মধ্যে অনেকগুলো যৌথভাবে একই অবস্থানে থাকে।

গত বছর ১৮৯টি দেশে ভিসা ছাড়া যাতায়াতের সুবিধা থাকায় সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যৌথভাবে এক নম্বরে ছিল জাপানও। এবার মিয়ানমারের কাছ থেকে ভিসামুক্ত যাতায়াতের সুবিধা যোগ হওয়ায় সিঙ্গাপুরকে হটিয়ে সবার ওপরে উঠে গেলো জাপান।

২০১৯ সালের হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্সে যৌথভাবে দুই নম্বরে রয়েছে সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়া। এশিয়ার এই দুটি দেশের নাগরিকরা ১৮৯টি দেশে ভিসা ছাড়াই চলাফেরা করতে পারেন। আগেরবার ফ্রান্স ও জার্মানির সঙ্গে যৌথভাবে তিন নম্বরে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া। তবে ভারতের সঙ্গে ভিসা-অন-অ্যারাইভাল চুক্তি হওয়ায় র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়া।

১৮৮টি দেশে ভিসামুক্ত ঢোকার সুবিধা থাকায় এবারও তিন নম্বরে আছে ইউরোপের ফ্রান্স আর জার্মানি। তালিকার চার নম্বরে যৌথভাবে আছে ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ইতালি ও সুইডেন। এসব দেশের পাসপোর্টধারীরা ১৮৭টি দেশে ভিসা ছাড়া যাওয়া-আসার সুবিধা পান। পাঁচ নম্বরে স্থান পাওয়া লুক্সেমবুর্গ ও স্পেনের নাগরিকরা দেশের বাইরে ১৮৬টি গন্তব্যে শুধু পাসপোর্ট নিয়েই যেতে পারেন।

র‌্যাংকিংয়ে ছয় নম্বরে আছে সাতটি দেশ। এর মধ্যে আছে দুই পরাশক্তি যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। বাকিগুলো হলো অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পর্তুগাল ও সুইজারল্যান্ড। এসব দেশের পাসপোর্টধারীদের কাছে ১৮৫টি দেশে ভিসামুক্ত যাতায়াতের সুবিধা আছে। তবে এ বছরের ২৯ মার্চ ব্রেক্সিটের পর বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে ইউরোপে বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটিশদের জন্য পাসপোর্ট অনেক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন ভ্রমণ বিশেষজ্ঞ সায়মন ক্যালডার।

নতুন বছরে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বল পাসপোর্ট ইরাক ও আফগানিস্তানের। এ দুটি দেশের নাগরিকরা মাত্র ৩০টি দেশে ভিসা ছাড়া যেতে পারেন। তাদের অবস্থান ১০৪ নম্বরে। কম সুযোগ-সুবিধা পাওয়া পাসপোর্টধারীদের মধ্যে সোমালিয়ার ৩২টি (১০৩তম), পাকিস্তানের ৩৩টি (১০২তম), ইয়েমেনের ৩৭টি (১০১তম), ইরিত্রিয়ার ৩৮টি (১০০তম), ফিলিস্তিন ও সুদানের ৩৯টি দেশে (৯৯তম) ভিসা ছাড়া যাতায়াতের সুযোগ আছে।
বাংলাদেশের পাসপোর্টধারীরা বিশ্বের ৪১টি দেশে ভিসামুক্ত যাতায়াতের সুবিধা পান।

হেনলি এন্ড পার্টনার্সের পাশাপাশি আরও কয়েকটি সংস্থা কয়েক মাস পরপর এ ধরনের পাসপোর্ট ইনডেক্স প্রকাশ করে থাকে। মাপকাঠির ভিন্নতার কারণে এগুলোর র‍্যাংকিংয়ে প্রায়ই ভিন্ন ভিন্ন দেশকে শীর্ষে থাকতে দেখা যায়।

Exit mobile version