Site icon Jamuna Television

মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের তথ্য সংগ্রহে গিয়ে আক্রান্ত যমুনা টিভির সাংবাদিক

বগুড়ায় একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন যমুনা টেলিভিশনের ‘ইনভেস্টিগেশন থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি’র রিপোর্টার এস এম জিয়া ও ক্যামেরাপারসন তানভীর মিজান। এসময় কেড়ে নেয়া হয় তাদের ক্যামেরা ও ভিডিও কার্ড। ঘটনার পর সাত ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুলিশ ভিডিও টেপ দুটি উদ্ধার করতে পারে নি।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়ার মালতীনগর এলাকার রিয়াল লাইফ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।

‘বগুড়া শহরের মালতিনগর এলাকার এই মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষকে মাদকে আসক্ত করা হয়, কেন্দ্রের ভেতরেই চলে মাদক সেবন’-এমন তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে যমুনা টেলিভিশনের ইনভেস্টিগেশন থ্রি সিক্সটি ডিগ্রির একটি অনুসন্ধানি দল বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে যায়। পরিচালকের অনুমতি নিয়ে ভেতরে ঢুকে তথ্যের সত্যতাও ধরা পড়ে যমুনার ক্যামেরায়। এরপরই অনুসন্ধান দলের প্রতিবেদক এসএম জিয়া ও ক্যামেরাপারসন তানভীর মিজানের ওপর হামলে পড়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক নূর মোহাম্মদ নূরা ও তার সহযোগীরা।

প্রতিবেদক জিয়া জানান, মারপিটের এক পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ধারণ করা কিছু ভিডিওচিত্র ক্যামেরা থেকে মুছে ফেলতেও বাধ্য করে তারা। পরে ছিনিয়ে নেয় ক্যামেরা, ভিডিও টেপ ও মাইক্রোফোনসহ অন্যান ডিভাইস।

প্রায় ঘণ্টা দেড়েক এই দুই সাংবাদিককে আটকে রেখে নির্যাতনের পর সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন। এসময় আটক করা হয় প্রতিষ্ঠানের মালিক নূর মোহাম্মদ নূরা সহ তার দুই সহযোগীকে। তবে এখনো পর্যন্ত পুলিশ সাংবাদিকদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া ভিডিও টেপ দুটি উদ্ধার কিংবা হামলায় জড়িত নূরার বাকি ৮ সহযোগীর কাউকে আটক করতে পারে নি।

জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, ঘটনার পর প্রতিবেদক জিয়া বাদী হয়ে নূরা ও তার ১২ সহযোগীকে আসামী করে বগুড়ায় সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সাংবাদিকদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া ভিডিও টেপ উদ্ধার ও বাকী আসামীদের গ্রেফতার শহরজুড়ে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।

Exit mobile version