Site icon Jamuna Television

কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসীদের ভাঙচুর, আহত ৩ কর্মকর্তা

কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে দূতাবাসের তিন কর্মকর্তা আহত হন। এ সময় দূতাবাসের আসবাবপত্র ও কম্পিউটার ভাঙচুর করা হয়। পরে স্থানীয় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বৃহস্পতিবার সকালে কুয়েতস্থ খালেদিয়া এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, লেসকো কোম্পানির চার শতাধিক শ্রমিক আকামাহীন ও বকেয়া বেতন, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার দাবি নিয়ে দূতাবাসে অবস্থান নেন। বিক্ষুব্ধ ও ভুক্তভোগী শ্রমিকরা বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামের কাছে দালালদের নাম, পাসপোর্ট কপি, ভুক্তভোগী শ্রমিকদের নাম ও সিভিল আইডি নম্বরসহ লিখিত অভিযোগ দেন।

রাষ্ট্রদূত তাদের অভিযোগ শোনেন এবং তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানির সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করে সমস্যা সমাধান করে ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দেন। পরে শ্রমিকদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন রাষ্ট্রদূত।

এ সময় শ্রমিকরা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে আশ্বস্ত হতে না পেরে বের হওয়ার সময় দূতাবাসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। উত্তেজিত প্রবাসী শ্রমিকরা বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে দূতাবাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। হামলায় দূতাবাসের তিন কর্মকর্তা আহত হন।

প্রসঙ্গত মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ কুয়েতে বর্তমানে প্রায় তিন লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছেন।

পরিবারের সচ্ছলতা আনতে সুখের আশায় দালালের ফাঁদে পড়ে ধার-দেনা, ভিটেবাড়ি বন্ধক রেখে সাত থেকে আট লাখ টাকা ভিসা কিনে কুয়েতে এসে শ্রমিকরা আকামাহীন, কর্মহীন, চার-পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন।

অনেক সময় আকামা না থাকার কারণে পুলিশি ঝামেলার শিকার হতে হয়। মসজিদ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, রাস্তাঘাট পরিষ্কার ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কোম্পানির শ্রমিকরা কাজ করেন। প্রতিনিয়ত কর্মস্থলে আতঙ্ক ও হতাশার মধ্যে দিন কাটছে তাদের। ফলে দিন দিন তাদের মধ্যে বাড়ছে হতাশা ও ক্ষোভ।

Exit mobile version