Site icon Jamuna Television

জিম্মি করে পর্ন ভিডিও তৈরি চক্রের ৬ সদস্য আটক

বরিশাল ব্যুরো

বরিশালে সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে পর্ন ভিডিও তৈরি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করে ডিবি পুলিশের সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ১৩ হাজার টাকা ও ৮টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।

প্রতারক চক্রের আটককৃত সদস্যরা হলো- নগরীর পলাশপুর এলাকার সুমন সরদার (২৬), আয়েশা আক্তার (২৫), মুন্না চৌধুরী (২৭), মনির হাওলাদার (২৫), জুলহাস সরদার (২৪) ও ভাটিখানা এলাকার তানভীর খান (২৬)।

এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় মানব পাচার ও পর্ন গ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর পুলিশের কমিশনার মোশাররফ হোসেন।

বুধবার দুপুরে কমিশনার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কাজের লোক দেয়ার কথা বলে গত ২০ জানুয়ারি (রোববার) বিকেল ৩টার দিকে এনজিও কর্মী তারেক খানকে নগরীর ভাটিখানা ‘হাসিনা মঞ্জিল’ এর ৪র্থ তলার একটি কক্ষে ডেকে নেয় প্রতারক আয়েশা আক্তার। ওই কক্ষেই ভাড়া থাকে প্রতারক চক্রের অপর সদস্য তানভীর খান। তারেক ওই কক্ষে প্রবেশ করতেই আয়েশা ও সুমি আক্তার নামে অপর প্রতারক তার উপর ঝাপিয়ে পড়ে। জোরপূর্বক তার গায়ের পোশাক খোলার চেষ্টা করে এবং ভয়ভীতি দেখায়।

এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে হাজির হয় সুমন, মুন্না, মনির, তানভীর, জুলহাস, রেজাউল সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জন। তারা তারেককে মারধরের পর প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে উলঙ্গ করে। আর সুমি আক্তার নিজে থেকে উলঙ্গ হয়ে প্রতারনার শিকার তারেককে জড়িয়ে ধরে। এসময় ওই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে অন্য প্রতারকরা। পরে তাকে আটকে রেখে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মান সম্মানের ভয়ে এক বন্ধুর কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পান তারেক। বাকি টাকার জন্য ২ দিন ধরে তাকে হত্যাসহ নানা হুমকি দিয়ে আসছিলো প্রতারক চক্রটি।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বিষয়টি পুলিশকে জানান নগরীর রূপাতলী হাইজিং এলাকা বাসিন্দা ভুক্তভূগী তারেক খান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। সুমি আক্তার ও রেজাউল পলাতক রয়েছে। এঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার রাতেই মামলা দায়ের করেছেন এনজিও কর্মী তারেক খান।

Exit mobile version