Site icon Jamuna Television

শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী থেকে অবৈধ স্থাপনা সরাতে প্রশাসনের নির্দেশ

শরীয়তপুরের জাজিরায় প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী প্রকল্প এলাকায় নির্মানাধীন অবৈধ স্থাপনা ৭২ ঘন্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

যমুনা টেলিভিশনে শরীয়তপুরের জাজিরায় প্রস্তাবিত শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী প্রকল্প এলাকা স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক শিরোনামে সংবাদ প্রচারের পরে এ নির্দেশ দেয় প্রশাসন।

এর আগে আজ শনিবার তাঁতপল্লীর নির্ধারিত স্থানে ক্ষতিপূরনের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে শত শত অবৈধ স্থাপনা দেখে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের সাধারন সম্পাদক নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি। তিনি এসময় প্রকল্পটির স্থান পরিবর্তন করারও পরামর্শ দেন।

এসময় তিনি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনে জাতীয় সংসদে বিষয়টি উত্থাপন, প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করার হুশিয়ারিও দেন। তাৎক্ষনিকভাবে তিনি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যবস্থা না নেয়ার কারন জানতে চান।

গত ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘শেখ হাসিনা তাত পল্লী’র ভিত্তিপ্রস্তর করেন। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯শ ১১ কোটি টাকা। প্রকল্পটির জন্য জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে ৬০ একর ও শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবায় ৬০ একর জায়গা নির্ধারন করা হয়েছে । এ প্রকল্পে অসংখ্য ৬ তলা বিশিষ্ট ভবনে প্রত্যেক তাতীর জন্য ৬শ ফুটের কারখানা ও ৮শ ফুটের মধ্যে আবাসন সুবিধা থাকবে। সরকারের পক্ষ থেকে সুতা,রং সহ কাচামালের সুবিধা দেয়া হবে। নির্মান হবে আন্তর্জাতিক মানের শোরুম, প্রশিক্ষন কেন্দ্র। একইসাথে তাতীদের পরিবারের জন্য থাকবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

এসব অধিগ্রহণকৃত জমিতে জেলা প্রশাসন থেকে সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভূমি অফিসে রেকর্ডি ভূমির মালিকদের দাগ ভিত্তিক তথ্য চাওয়া হয়েছে। এমন তথ্য নাওডোবা ও কুতুবপুরে ছরিয়ে পরলে ওই জমির মালিক ও এক শ্রেনীর দালাল চক্র ঘরসহ স্থাপনা নির্মান ও গাছ লাগানো শুরু করেছেন। প্রতিদিন শত শত অবৈধ স্থাপনা নির্মান করা হচ্ছে ক্ষতিপূরনে বাড়তি বিলের আশায়।

Exit mobile version