Site icon Jamuna Television

লক্ষ্মীপুরে ট্রাফিক পরিদর্শকের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগে মামলা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরে ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) আবদুল্লাহ আল মামুনের (মামুন আল-আমিন) বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও এক আইনজীবীর সহকারীকে মারধরের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ রবিবার দুপুরে জেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভুক্তভোগী ইউসুফ আলী বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মাসুদ বিপু জানান, বিচারক মুনছুর আহমেদ বিষয়টি আমলে নিয়েছেন। ৩১ মার্চের মধ্যে এ ঘটনায় জুডিশিয়ারী তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়াও আদালত ২৮ জানুয়ারি সকল স্বাক্ষীকে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে।

মামলার বাদী ইউসুফ কমলনগর উপজেলার চরকালকিনি গ্রামের মৃত ছায়েদুল হকের ছেলে ও জেলা জজ আদালতের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মাসুদ বিপুর সহকারী।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ জানুয়ারি বিকেলে আইনজীবীর সহকারী ইউসুফ লক্ষ্মীপুর জজ আদালত থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হন। পতিমধ্যে শহরের ঝুমুর এলাকায় ট্রাফিক বক্সের সামনে তার সম্পর্কীয় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক মো. শাহিনকে কাঁদতে দেখেন। এসময় তিনি ছুটে এসে শাহিনকে জড়িয়ে ধরলে শাহিন তাকে ট্রাফিক পুলিশের হাতে জব্দ হওয়া অটোরিকশাটি ছাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেন। শাহিনের কথামত ট্রাফিক বক্সে গিয়ে টিআই মামুনের কাছে অটোরিকশাটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন ইউসুফ। কিন্তু হঠাৎ করে কিছু বুঝে উঠার আগেই টিআই মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে ইউসুফকে ঘুষি ও বুট দিয়ে লাথি মারতে শুরু করে। একপর্যায়ে তাকে ট্রাফিক বক্সের বাইরে নিয়ে ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করে সড়কে ফেলে রাখে। পরে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। একই সাথে এ ঘটনায় মামলা দায়ের না করতে ইউসুফকে হুমকি দেয়া হয়। এছাড়া ওই অটোরিকশাটি ছেড়ে দিতে চালক শাহিনের কাছ থেকে টিআই মামুন ২ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছেন বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মামুন আল-আমিন বলেন, চাঁদা দাবি ও মারধরের ঘটনাটি সত্য নয়। এটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা। চাকরি ক্ষেত্রে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে এ মামলা করা হয়েছে।

Exit mobile version