Site icon Jamuna Television

৩ কেজি গাজার টাকা নিয়ে দিয়েছে ১ কেজি, ৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীর!

ভোর ৬টায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার এস আই মোঃ জাকির হোসেনের কাছে ফোন আসে জরুরি পুলিশ সেবা ৯৯৯ থেকে। সারারাত ডিউটি শেষে থানায় ফিরেছেন মাত্র। বিশ্রামের সময় তখন।

কল রিসিভ করা পর জানানো হয়, ব্রাহ্মণপাড়া বাজারে এক গাজা ব্যাবসায়ী রয়েছে, তাকে আটক করতে হবে। ফোর্স সহ ছুটে গেলেন আসামি ধরতে। তবে ঘটনাটা যে শেষ পর্যন্ত এমন হতে পারে তা ঘূর্ণাক্ষরেও আন্দাজ করতে পারেন নি তিনি।

ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার আগেই স্থানীয় পাইকারি মাদক কারবারী পালিয়ে যায়। তার সাথে মূলত ‘ব্যবসায়িক লেনদেনে’ সমস্যা হয়েছে এক খুচরা মাদক বিক্রেতার, যিনি একজন নারী। পাইকারী ব্যবসায়ী ওই খুচরা ব্যবসায়ী সালমার কাছ থেকে ৩ কেজি গাজা সরবরাহের জন্য টাকা নিয়ে দিয়েছেন মাত্র ১ কেজি। বাকিটা দিতে গড়িমসি করছেন।

এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতেই  সালমা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন।

এসআই জাকির হোসেন গিয়ে সালমাকে (৪০) আটক করেন।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গাঁজা ব্যাবসায়ী সালমা বেগম থাকেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায়। স্বামীর নাম জসিম উদ্দিন। প্রকৃত বাড়ি বরিশালের মুলাদীতে। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার সীমান্ত এলাকার মাদক ব্যাবসায়ী আব্দুর রহিমের কাছ থেকে গাজা কিনে নিয়ে বিক্রি করেন তিনি ও তার স্বামী।

ঘটনার দিন গত শনিবার সকালে ৩ কেজি গাজার জন্য রহিমকে টাকা দেয় সালমা। ৩ কেজির টাকা নিয়ে তাকে গাজা দেয়া হয় এক কেজি। এতে ক্ষিপ্ত সালমার সাথে বাকবিতণ্ডা হয় রহিমের। এক পর্যায়ে জরুরি পুলিশ সেবা ৯৯৯এ ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানান সালমা।

পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে তখনই ব্রাহ্মণপাড়া থানায় জানানো হয় বিষয়টি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই কৌশলে সটকে পরে পাইকারি ব্যাবসায়ী রহিম মিয়া। এক কেজি গাঁজা সহ আটক করা হয় সালমা বেগমকে।

এ বিষয়ে এসআই জাকির হোসেন জানান, সালমা ও পলাতক মাদক কারবারী আব্দুল রহিমকে আসামি করে ব্রাম্মণপাড়া থানায় মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Exit mobile version