ভারতে গতকাল ৩০ জানুয়ারি পালিত হয়েছে দিনটি। শ্রদ্ধায় স্মরণে মহত্মা গান্ধীর মৃত্যুদিনে তার কথা মনে করেছে ১২৭ কোটি মানুষের দেশ। নতুন করে তার দেখানো পথে চলার শপথ নিয়েছেন অনেকে।
কিন্তু ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারির স্মৃতি উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে ফিরে এলো অন্যভাবে। যে কায়দায় সেদিন গান্ধীজিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল সেটার পুননির্মাণ করা হল! জাতির জনককে হত্যা করেন নাথুরাম গডসে। তিনি হিন্দু মহাসভার সদস্য ছিলেন। সেই হিন্দু মহাসভাই বুধবার এভাবে গান্ধীজির মৃত্যুদিন ‘পালন’ করল। পাশাপাশি গডসের মূর্তিতে মালা দেয়া হয়, মিষ্টিও বিতরণ করা হয়। গোটা ঘটনা নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে হিন্দু মহাসভার জাতীয় সম্পাদক পুজা পান্ডে গান্ধীজির প্রতিকৃতিতে গুলি করছেন। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন তাঁদের সংগঠনে এই নতুন কায়দায় গান্ধীজির মৃত্যু দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দশেরায় যেভাবে রাবণ দহন হয় সেভাবেই এই ব্যাপারটা করা হবে। এই দিনটিকে সৌর্য দিবস হিসেবে দেখে হিন্দু মহাসভা।
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি হত্যার পর ওই বছরের ৮ নভেম্বর ফাঁসির সাজা হয় নাথুরামের। তার আগে চলে আইনি প্রক্রিয়া। গান্ধীজির দুই ছেলে চাননি গডসের ফাঁসি হোক। কিন্তু তৎকালীন ভারত সরকার নভেম্বর মাসেরই ১৫ তারিখ আম্বালা জেলে নাথুরামের ফাঁসির ব্যবস্থা করে।
এই প্রথম নয় এর আগেও গডসেকে মহান প্রতিপন্ন করার কাজ করেছে হিন্দু মহাসভা। ২০১৫ সালে সংগঠনের তরফে বলা হয়েছিল তারা কর্নাটকের ছ’টি জেলায় গডসের মূর্তি বসাতে চায়।

