Site icon Jamuna Television

শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৮৩ রানে হেরেছে বাংলাদেশ

সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ডেভিড মিলারের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ৮৩ রানে হারিয়ে ২-০’তে সিরিজ জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র ৩৫ বলে টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকান মিলার। প্রোটিয়াদের করা ২২৪ রানের জবাবে ৯ বল বাকী থাকতে ১৪১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংসের ১৯তম ওভারের শেষ বল, যেখানে ইংলিশ বোলার স্টুয়ার্ট ব্রডের মত ভাগ্যবরণের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশের সাইফুদ্দিন। তবে প্রথম পাঁচ বলে ৫ ছক্কা হাঁকানো ডেভিড মিলার শেষ বলটিতে আর পারেননি। তবে তার আগে অবশ্য যা ঘটানোর তা ঘটিয়ে ফেলেছেন কিলার মিলার। মাত্র ৩৫ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে গড়লেন দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্ব রেকর্ড।

বাংলাদেশের জন্য অবশ্য শুরু আর শেষটা একই জায়গায়। পচেফস্ট্রুম ভেন্যুতে আগের ম্যাচের একাদশে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান- নিয়ে খেলতে নামে সাকিব বাহিনী।তবে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সাহস দেখাননি সাকিব। বরং দায়িত্ব নিয়েই বল হাতে শুরুতেই দুই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি।

দলীয় ৩৭ রানের মধ্যেই ফেরেন মোসলে আর অধিনায়ক ডুমিনি। এরপর সাইফুদ্দিনের বলে এবি ডি ভিলিয়ার্স ফেরেন ২০ রান করে। তবে সহজাত ব্যাটিংয়ে হাশিম আমলা আর ডেভিড মিলার রানের গতিতে বান ডাকেন। তারআগে অবশ্য শূন্য রানে রুবেলের বলে মুশফিক উইকেটের পেছনে ক্যাচ ফেলে, মিলারকে পাখা মেলার সুযোগ করে দেন। আমলার সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি গড়েন মিলার। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৫ রান করে সাইফুদ্দিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন আমলা।

এরপরই মিলারের কিলার মুড অন। ৫ম উইকেটে বেহারদিনের সাথে ২১ বলে ৬৭ রানের জুটিতে বেহারদিনের রান ছিলো কেবল ৬ । সাইফুদ্দিনের এক ওভারে টানা ৫ ছ্ক্কার পাশাপাশি ৯টি ছয় হাকান তিনি। চার ছিলো ৭টি। ৩৫ বলে টি২০ ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন ১০১ রান তুলে। শেষ ৫ ওভারে আসে ৯০ রান।

২২৫ রানের লক্ষ্যের জবাবটা যেভাবে শুরু করলে ভাল হয়, সেভাবেই শুরু করলেন সৌম্য-ইমরুল। প্রথম ওভারে এলো ১৭ রান।তবে সেই চাপ ধরে রাখতে পারেননি ইমরুল-সাকিব-মুশফিক-সাব্বিররা। ৩৭ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যান ফিরে গিয়ে বড় হারের জন্য পথ পরিষ্কার করে দেন।এক প্রান্ত আগলে রেখে সৌম্য রানের চাকা সচল রাখলেও চল্লিশের ঘরই তার সীমাবদ্ধতা। ২৭ বলে ৪৪ রান করে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন তিনি।

নিয়মিত উইকেট পতনে ১৮ ওভার ৩ বলে ১৪১ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-২০ মিলে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ৭ ম্যাচে শতভাগ হারের পরিসংখ্যান নিয়েই শেষ হলো শিক্ষানবীশ এক সফরের।

যমুনা অনলাইন: টিএফ/এইচকেএফ

Exit mobile version