Site icon Jamuna Television

বাগেরহাটে বিএনপি নেতা হত্যার ৩ কারণ দাবি পুলিশের

বাগেরহাট জেলা-যুগান্তর

বাগেরহাট প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খাজা মঈনুদ্দিন আখতারকে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন, পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা বোমা মেরে হত্যা করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। ওই তিনটি কারণকে গুরুত্ব দিয়ে ইতিমধ্যে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ শুরু করেছে।

এঘটনায় আজ শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত রামপাল থানায় কোন মামলা বা জড়িত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকালে জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে ।
এসময় জেলা বিএনপি সভাপতি এম এ সালাম সহ জোটের নেতৃবৃন্দ জানাজায় অংশ নেন । খুনিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে বিএনপি নেতৃবৃন্দ ।

এদিকে, শুক্রবার বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করার ফলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এরআগে,বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে রামপাল উপজেলার ভরসাপুর বাজার এলাকায় একদল সন্ত্রাসী তার উপর বোমাহামলা চালালে বিএনপি নেতা খাজা মঈনুদ্দিন আখতার নিহত হন।

নিহতের স্ত্রী চম্পামালা বেগম বলেন, তার স্বামী বিএনপি নেতা খাজা মঈনুদ্দিন আখতারের উপর বোমা হামলার কয়েক মিনিট আগেই তার সাথে ভরসাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা হয়। তাকে বাজার করার কথা বলে আমি ভ্যানযোগে ফয়লা এলাকায় চলে আসি। এর কিছুক্ষণ পরে ফয়লায় বসে শুনি আমার স্বামীর উপরে কারা হামলা চালিয়েছে। তাকে যারা হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয়রা বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ভরসাপুর বাজার এলাকার কমল মার্কেটের সামনে হঠাৎ বিস্ফোরণের একটি বিকট শব্দ শুনতে পাই। প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম কোন দোকানে এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়েছে। আমরা ওই শব্দ পেয়ে ছুটে এসে দেখি কমলা মার্কেট এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর ধোঁয়া কমলে দেখি সাবেক চেয়ারম্যান মঈনুদ্দিন রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার উপরে উপুড় হয়ে পড়ে আছেন। তখন তাকে রাস্তা থেকে তুলে গাড়ীতে করে খুলনা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন, পারিবারিক ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা বোমা মেরে হত্যা করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। ওই তিনটি কারণকে গুরুত্ব দিয়ে ইতিমধ্যে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ শুরু করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা কাজ করছি। এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ খুব শিগগির আসামীদের ধরতে পারবে এবং হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হবে বলে দাবি এই পুলিশ কর্মকর্তার।

Exit mobile version