Site icon Jamuna Television

জন্ম দিলেন তৃতীয় সন্তান, আইএস’র শামীমাকে নিয়ে ব্রিটেনে আলোচনা তুঙ্গে

এই মুহূর্তে বৃটেনে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় আইএসে যোগ দেয়া শামিমা বেগম। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শামীমা সিরিয়ায় শরণার্থী শিবিরে শনিবার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তার বৃটেনে ফিরে আসার আবেদন ও তার সন্তানের ভবিষ্যত নিয়ে সারা বৃটেনে তোলপাড় চলছে কয়েকদিন ধরে।

শামীমা তার এই নবজাতককে নিয়ে বৃটেনে ফিরতে চান। কিন্তু বৃটিশরা এ নিয়ে দৃশ্যত দু’ভাগ হয়ে আছেন। একপক্ষ তার দেশে ফেরার পক্ষে। অন্যপক্ষ চান তাকে যেনো কোনোভাবেই ব্রিটেনের মাটিতে আর পা ফেলতে দেয়া না হয়।

এদিকে তার আইনজীবী অভিযোগ তুলেছেন তিন সন্তানের এই তরুণী মায়ের সাথে খুবই খারাপ আচরণ করছে ব্রিটিশ সরকার। তিনি বলেছেন, নাৎসী যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে যেমন আচরণ করা হয়েছিল তার চেয়েও খারাপ আচরণ করা হচ্ছে শামীমার সাথে।

শনিবার রাতে তৃতীয় সন্তানের মা হওয়া শামীমা এরই মধ্যে নতুন করে সাক্ষাতকার দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, তার প্রতি মানুষের সহানুভূতি দেখানো উচিত। কিন্তু তা ঘটছে না। এমন অবস্থায় মুখ খুলেছেন শামিমার পারিবারিক আইনজীবী তাসনিম আকুঞ্জে। তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে গণহত্যার বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল।

তাসনিম বলেন, নাৎসীদেরকে নুরেমবার্গ ট্রায়ালে বিচার করা হয়েছিল। কিন্তু এই যুবতী তো শিকারে পরিণত হয়েছিলেন। যখন তিনি আইএসে যোগ দিয়েছেন তার বয়স ছিল তখন ১৫ বছর।

এই যখন অবস্থা তখন একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে ব্যতিক্রমী সাক্ষাতকার দিয়েছেন শামীমা। তিনি বলেছেন, তিনি কখনো ক্ষতিকর কিছুতে জড়িত ছিলেন না। ফলে ব্রিটেনে ফিরলে তিনি হুমকি হবেন- এমন বক্তব্য ধোপে টেকে না। তার কাছে এখন তার সন্তান সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান। সিরিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পে বাচ্চাদেরকে নিয়ে অবস্থান করা তার জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।

২০১৫ সালে বৃটেনের বেথনাল গ্রিন এলাকার আরো দু’জন কিশোরী খাদিজা ও সামিরা আবাসের সঙ্গে দেশ ছেড়ে পালান শামিমা। তারা তুরস্ক হয়ে চলে যান সিরিয়া। শামীমা সেখানে বিয়ে করেছেন বিদেশী আইএস যোদ্ধাকে। স্বামী অবশ্য ইতোমধ্যে মার্কিন বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন।

Exit mobile version