Site icon Jamuna Television

কক্সবাজারের ডলফিন মোড়ে কেন হাঙ্গরের ভাস্কর্য?

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে যাবার পথে কলাতলী চত্বরে হাঙ্গরের ভাস্কর্য কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।

গতকাল বিকেলে নিজের ফেসবুক এ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এ প্রশ্ন রাখেন তিনি। তিনি বলেন বিশ্বের অনেক দর্শনীয় স্থানেই সে স্থানকে তুলে ধরে, এমন ভাস্কর্য থাকে কিন্তু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কোন হাঙ্গরের অস্তিত্ব না থাকা সত্ত্বেও কেন হাঙ্গরের ভাস্কর্য?

তার মতে, এতে সৈকতে প্রবেশের মুখেই পর্যটকরা ভীত হবেন এই ভেবে যে এখানে হাঙ্গর থাকতে পারে। তিনি এটিকে পর্যটকদের জন্য আত্মঘাতী হিসেবে উল্লেখ করেন। একইসাথে তিনি ঐ ভাস্কর্যের ছবিও সংযুক্ত করে দেন তার স্ট্যাটাসে।

তার এই স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন ১৩৭ জন এতে মন্তব্য এসেছে ১৬৭টি।

আশরাফুল আলম খোকনের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলো-

“কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে হাঙ্গরের ভাস্কর্য কেন… ?

অবসরে আমরা অনেকেই দেশে বিদেশে কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাই। দর্শনীয় ঐতিহাসিক স্থানগুলো দেখে আসি। সাথে হয়তো ট্যুর গাইড থাকে অথবা স্যুভেনিরই থাকে অবলম্বন। যার মাধ্যমে ঐসব জায়গাগুলোর সম্পর্কে খুঁটিনাটি সব জানা যায়। এছাড়াও স্থাপনাগুলোর সামনে ঐসব ঐতিহাসিক ও আকর্ষণীয় জায়গাগুলোর বিস্তারিত লেখা থাকে অথবা সিম্বলিক ভাস্কর্য থাকে- যা দেখে বিস্তারিত জানা যায়।

আমাদের আছে কক্সবাজার। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত । প্রায় ১২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতের বিপরীত দিকে আছে সারিসারি সবুজ পাহাড়। প্রাকৃতিক এইরকম নৈসর্গিক দৃশ্য পৃথিবীতে বিরল। দেশি-বিদেশী অনেক পর্যটক শুধু ওখানে যায় সমুদ্রের পানিতে নিজেদেরকে একটু ভিজিয়ে নিতে। কিছু রেস্টুরেন্ট ছাড়া ওখানে বিনোদনেরও আর কিছু নেই।

কিন্তু দুঃখের বিষয় কোনো পর্যটক যদি সেখানে যায় তাহলে তারা কি দেখবে। তারা কক্সবাজারে প্রবেশের পরপরই কলাতলী চত্বরে দেখতে পাবে একটি ভাস্কর্য। যে ভাস্কর্যে কিছু সামুদ্রিক মাছের সাথে আছে একটা “ হাঙ্গর” এর ভাস্কর্য। যারা জ্যান্ত মানুষ পানিতে পেলে খেয়ে ফেলে।

এখন কোনো বিদেশী পর্যটক এসে যদি প্রথমেই হাঙ্গরের ভাস্কর্য দেখে,সে কি বীচে নামতে সাহস পাবে? যেখানে ভয়ংকর হাঙ্গরের দাঁতের মুখগুলো হা করে মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে। এমনিতেই’তো কক্সবাজারে বিনোদনের আর কিছু নেই। এরপর যদি আমরা পর্যটকদের হাঙ্গর দেখিয়ে দেই সেটা খুবই আত্মঘাতী বিষয়। অথচ হাঙ্গরের কোনো অস্তিত্বই এখনো সেখানে দেখা যায়নি।”

Exit mobile version