Site icon Jamuna Television

ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

ঘুষ গ্রহণের মামলায় সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক। বুধবার ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে সকাল সোয়া ১০টা থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

এরআগে ঘুষের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত রোববার ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

যমুনা সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্গানেট ওয়ান লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাজমুল হুদাকে তলব করা হয়। ২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৬ সালের ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় চেকের মাধ্যমে ওই ঘুষ নেন নাজমুল হুদা- এ অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৮ জুন রাজধানীর মতিঝিল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক বেলাল হোসেন।

সূত্র জানায়, মামলার পর তা চ্যালেঞ্জ করে নাজমুল হুদার পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে রিট করা হয়। রিটের শুনানি শেষে দুদকের মামলার পক্ষে আদেশ হয়। এর পরই মামলাটি সচল হয়ে ওঠে। ওই মামলার তদন্ত শেষ করতেই নাজমুল হুদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক। কমিশনের ১৯ ও ২০ ধারা এবং কমিশনের বিধিমালার ২০ বিধিসহ ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারায় নাজমুল হুদার জবানবন্দি গ্রহণ করবে দুদক।

জানা গেছে, চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ২০০৮ সালের ২২ জুলাই পাঁচজন সাক্ষী আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তারা হলেন- সৈয়দ আহমেদ ফারুক, রুস্তম আলী হাওলাদার, এসএম আবদুল মান্নান, আনোয়ারুল হক ও মোবারক হোসেন।

প্রসঙ্গত, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে ২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনটি মামলা হয়। একটি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা। দ্বিতীয়টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্গানেট ওয়ান লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি মাসে ২৫ হাজার টাকা হিসেবে ছয় লাখ টাকা অবৈধভাবে গ্রহণের অভিযোগে করা।

আর তৃতীয়টি আকতার হোসেন লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মীর জাহির হোসেনের কাছ থেকে দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলা। এ মামলায় নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সাজা বহাল রেখেছেন আদালত।

Exit mobile version