Site icon Jamuna Television

পাইলট আটক হওয়ায় বেকায়দায় মোদি

বুধবার সকালেও বেশ ফুরফুরে ছিলো নরেন্দ্র মোদির মেজাজ। দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ব্যালটবক্সের ভোট নিশ্চিত করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, পরমুহূর্তেই পাকিস্তান ভূখণ্ডে ভারতীয় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পাশাপাশি উইং কমান্ডার আটকের খবরে ভেস্তে যায় সাজানো পরিকল্পনা।

ভোটের আগে, দেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে সরকার- বিরোধীদের রোষানলের পাশাপাশি সহ্য করতে হচ্ছে পাকিস্তানের টিটকারীও। যে কোন মূল্যে পাইলটকে ফেরত আনার কথা বললেও, শঙ্কিত মুক্তিপণ নিয়ে।

পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুয়িদ পীরজাদা বলেন, এটা স্পষ্ট- লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই জম্মু-কাশ্মির নাটক সাজিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০০২ সালেও প্রথমবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সময় এ কৌশল অবলম্বন করেন। কিন্তু, উইং কমান্ডার ধরা পরায় পুরোপুরি ফেঁসে গেছেন। পাকিস্তান বরাবর গোয়েন্দা সহায়তার প্রস্তাব দিয়ে এলেও; নয়াদিল্লির মধ্যেই লুকোছাপাটা বেশি।

এদিকে, বিশ্লেষকদের অভিমত, পাকিস্তানের হাতে ঘুড়ির নাটাই থাকলেও; বেশ হিসাব-নিকাষ করে এগোচ্ছে ইমরান প্রশাসন।

নয়াদিল্লির রাজনৈতিক বিশ্লেষক সঞ্জয় কাক বলেন, পাকিস্তান সরকার নিরাপদ দূরত্বে থেকে পাশার দান দিচ্ছে। দৃশ্যতঃ পুরো খেলাটা এখন তাদের হাতে। পাইলটের মুক্তিপণ হিসেবে তারা যেকোন কিছু চাইতে পারে। প্রকাশ না করলেও, সেটা নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত মোদি সরকার। তবে, ইমরান প্রশাসন নিজেদের ভাবমূর্তি বজায় রাখার স্বার্থে এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও বিবেচনায় রাখছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সম্মুখ সংঘাত নয় বরং সংলাপের পথে হাটতে হবে দু’দেশকে। কারণ, ন্যুনতম ত্রুটিও বাঁধাতে পারে নতুন যুদ্ধ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক আদনান নাসিমুল্লাহ বলেন, ভারত-পাকিস্তান দীর্ঘদিন ছায়াযুদ্ধ করছে। যার মূলে রয়েছে- কাশ্মির উপত্যকা। আপাতত, দু’দেশের মাঝে হামলা-পাল্টা হামলা বন্ধ থাকলেও; যে কোন মুহূর্তে পরিস্থিতি গড়াতে পারে ভিন্ন খাতে। খুব সাবধানে পা ফেলতে হবে উভয়পক্ষকে। কারণ, সামান্য ত্রুটির কারণেও বেঁধে যেতে পারে আরেকটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।

আগে থেকেই, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে পাকিস্তানে বন্দি ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা কুলভূষণ যাদব। নতুনভাবে, বুধবার আজাদ-কাশ্মিরে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর আটক হলেন উইং কমান্ডার অভিনন্দন। বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমান্তে যুদ্ধের পরিবর্তে তাদের উদ্ধার করাটাই এখন মোদি সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ।

Exit mobile version