Site icon Jamuna Television

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রথমে প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্বলন

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের আয়োজন করা হয়। পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট ‘আমরাই পারি’ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেন।

আরো উপস্থিত ছিলেন ‘আমরাই পারি’র চেয়ারপারসন ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল, ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর গোলাম রব্বানী, ‘আমরাই পারি’ জোটের সমন্বয়ক জিনাত আরা প্রমুখ।

রাত ১২টা এক মিনিটে নারী নির্যাতন দূর করতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এসময় নারীদের অধিকার বিষয়ে সচেতন করতে শপথ নেন সবাই।

অনুষ্ঠানে বক্তারা সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি আহবান জানান নারীদের প্রতি সমদৃষ্টি দেয়ার। তাগিদ দেন নারী অধিকারে রাষ্ট্রকে আরো বেশি যত্নবান হওয়ার। সেইসাথে নারীদেরও তার অধিকার আদায়ে এগিয়ে আসার কথাও বলেন কেউ কেউ।

মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, আমরা অচিরেই দেখব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ছাত্রীরা তাদের নিজ দায়িত্বে, নিজ সম্মানবোধে, নিজ অধিকারে যখন তাদের প্রয়োজন তখন তারা হল থেকে বের হতে পারছে। যখন তাদের ফিরে আসতে হচ্ছে তারা ফিরে আসবে। সেই সম্মান তাদেরকে নিশ্চয়ই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেখাবে। সবসময় নারীর যা কিছু হয়, নারীকেই তার দায়-দায়িত্ব নিতে হয়। নারীর পথ অনেক চ্যালেঞ্জ অতএব নারী বাইরে যাবে না; এই চ্যালেঞ্জ যারা তৈরি করে তাদেরকে অপসারিত করতে হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে প্রথম যে কথাটি ছিল তা হলো— ‘ভাই ও বোনেরা’। সেদিনই বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন, ভাই ও বোনেরা, নারী এবং পুরুষ তাদের যৌথ প্রয়াসে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। ভাই ও বোনদের সম্বোধন করে জাতির পিতা যে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছিলেন সেই ভাষণ কিন্তু আজকে বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী দলিল। ৭ মার্চের দিন নারী-পুরুষের সম্মিলিত উপস্থিতি ছিল, মহান মুক্তিযুদ্ধ যেটি পরিচালিত হয়েছিল নারী ও পুরুষের সমান অবদানের মাধ্যমে। এই স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনে নারী ও পুরুষের সমান অবদান আছে।

Exit mobile version