Site icon Jamuna Television

কেমন ছিলো সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচন?

ইনসেটে-হাবিবুল ইসলাম হাবিব, হাত তুলে দাড়ানোদের মধ্যে বাম থেকে প্রথম

ফররুখ মাহমুদ:

সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ১৯৯০ সালে। প্রায় ২৯ বছর পর আগামীকাল আবারো ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কেমন ছিলো সর্বশেষ ডাকসু নির্বাচনের পরিবেশ? দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর এবারের নির্বাচনে কোন কোন জায়গায় পরিবর্তন এসেছে? ভোট গ্রহণ ও গণণার পদ্ধতিতে কোন পরিবর্তন এসেছে কী? ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যকার সর্ম্পক কেমন ছিলো?

এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমরা কথা বলেছি সর্বশেষ ডাকসুতে কমরুম সম্পাদক পদে নির্বাচিত হাবিবুল ইসলাম হাবিবের সাথে। বর্তমানে তিনি বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন দুইবার।

এই নির্বাচনে তার মেয়ে কানেতা ইয়া লাম-লাম ডাকসুতে কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

হাবিব জানান, ১৯৯০ সালের নির্বাচনের সময় ক্যাম্পাসে এককভাবে কোনো দলের আধিপত্য ছিলো না। সব দল ক্যাম্পাসে ও হলে একসঙ্গে মিলেমিশে থাকতো। আদর্শিকভাবে অমিল থাকলেও একের অপরের প্রতি ভালোবাসার টান ছিলো। ১৯৯০ সালে ডাকসুতে পূর্ণ প্যানেলে ছাত্রদল জিতলেও হলগুলোতে অন্যান্য সংগঠনগুলোও নির্বাচিত হয়েছে বলে জানান তিনি। এধরনের ভ্রাতৃত্ববোধ এখন দেখেননা বলে জানান তিনি।

এবারের নির্বাচনে প্রার্থীদের জন্য বয়স সীমিত করে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ’৯০ এর নির্বাচনে এ সীমারেখা ছিলো না বলে জানান হাবিব। তিনি বলেন, নিয়মিত শিক্ষার্থীরাই নির্বাচনে অংশ নিতো। মার্স্টাসের শিক্ষার্থী থাকাবস্থায় তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন বলে জানান।

হাবিবুল ইসলাম জানান, সর্বশেষ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় ছিলো ৮ ঘণ্টা। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলতো বিকাল ৪টা পর্যন্ত। কিন্তু এবার ভোট গ্রহণের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। ভোট গণণা ও ফল প্রকাশের বিষয়েও পরিবর্তন এসেছে বলে জানান হাবিব।

তিনি জানান, তখনকার সময়ে হলগুলোতে ভোট গ্রহণ শেষে ব্যালটগুলো কলা ভবনের চারতলায় স্থাপিত নির্বাচনী কক্ষে নিয়ে আসা হতো। সেখান থেকেই ফল ঘোষণা করা হতো। কিন্তু এবার হল সংসদের ভোট হলেই গণণা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট সিনেট ভবনে স্থাপিত নির্বাচনী কক্ষে এনে গণণা করে ফল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনী প্রচারণায় অনেক পরিবর্তন এসেছে বলে জানান হাবিব।

তিনি বলেন, ওনাদের সময়ে প্রচারণায় শুধু লিফলেট থাকতো। ব্যানার ছিলো হাতেগোনা কয়েকটা। কিন্তু এবারের নির্বাচনে ব্যানারের ছড়াছড়ি ছিলো মাত্রাতিরিক্ত। এছাড়া সর্বশেষ নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহার ছিলো না। এবার প্রার্থীরা প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন।

Exit mobile version