Site icon Jamuna Television

প্যারালাইজড স্বামী রক্ষা পেলেও বাঁচতে পারলেন না পারভীন

ফরিদ উদ্দিন আহমদ পক্ষাঘাতগ্রস্ত (প্যারালাইজড)। একা চলাফেরা করতে পারেন না। জুমার নামাজ পড়তে যাবেন মসজিদে। সাথে ছিলেন স্ত্রী হুসনে আরা পারভীনও। অসুস্থ স্বামীকে হু‌ইল চেয়ারে মসজিদের পুরুষ অংশে রেখে নিজে মহিলাদের জন্য নির্ধারিত স্থানে চলে আসেন। হঠাৎই শোনেন গুলির শব্দ। মসজিদের পুরুষ অংশ থেকে ভেসে আসছিলো চিৎকার। দৌঁড়ে বের হয়ে সেদিকেই যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সন্ত্রাসীর গুলি তাকে পৌঁছাতে দেয়নি। কেড়ে নিয়েছে প্রাণ। তবে প্যারালাইজড স্বামীকে ছুঁতে পারেনি ঘাতকের বুলেট।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদের ঘটনা এটি। আজ বেলা দেড়টার দিকে ডানপন্থী উগ্রবাদী এক সন্ত্রাসীর আক্রমণে সেখানে প্রাণ হারান ৪৯ জন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন ৩ জন। আহত আছেন আরো বেশ কয়েকজন।

নিহত পারভীনের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জের জাঙ্গালহাটা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত নুরুদ্দিনের মেয়ে। তারা তিন বোন ও দুই ভাই। ১৯৯৪ সালে বিয়ে হয় ফরিদ উদ্দিনের সাথে। এরপর থেকেই স্বামীর সাথে নিউজিল্যান্ডে বসবাস করছিলেন তিনি। তাদের ১৪ বছর বয়সী শিফা নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

পারভীনের নিহতের ঘটনায় শোক নেমে এসেছে তার গ্রামের বাড়িতে। তার পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০০৯ সালে সর্বশেষ দেশে এসেছিলেন পারভীন। বাংলাদেশ সময় আজ সকাল ১০টায় নিউজিল্যান্ডে থাকা পারভীনের ভাবী হিমা বেগম কল করে তার মৃত্যুর খবর দেন। এরপর থেকে তারা আর যোগাযোগ করতে পারছেন না।

পারভীনের মরদেহ যাতে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হয় সেজন্য পরিবারের সদস্যরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সন্ত্রাসী হামলার দৃষ্টান্তমুলক বিচারও চান তারা।

Exit mobile version