Site icon Jamuna Television

ছবি দেখার লোভ দেখিয়ে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি :

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে ১৩ বছরের এক শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। মোবাইলে ছবি দেখার লোভ দেখিয়ে নিজ স্ত্রীকে দিয়ে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্রতিবেশি যুবক আসাদুল সরকার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ স্বজনদের।

ঘটনার চার দিনপর (১৮ মার্চ) দুপুরে নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামে অভিযুক্ত আসাদুল সরকারের নিজ বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি।

অভিযুক্ত আসাদুল সরকার (৩৫) দামোদরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দামোদরপুর গ্রামের (কান্তনগরবাজার) আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে। আসাদুলের ১৫ বছরের এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।

নির্যাতনের শিকার শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুটির বাবা আব্দুল মাজেদ মিয়া একজন রিকশা চালক। স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন তিনি। মর্জিনা বেগম একটি গার্মেন্টে চাকুরি করেন। বাবা-মা ঢাকায় থাকায় শিশুটি গ্রামে তার নানা মুনছুর ঘটকের বাড়িতে থাকতো। নানী হাজিরন নেছা তাকে দেখাশুনা করেন।

নির্যাতনের শিকার শিশুটির পরিবার জানান, আসাদুলের স্ত্রী রোজি বেগম বৃহস্পতিবার দুপুরে মোবাইলে ছবি দেখার কথা বলে নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় শিশুটিকে। এরপর রোজির সহযোগিতায় শিশুটিকে ধর্ষণ করে আসাদুল। পরে ধর্ষণের ঘটনাটি না জানাতে শিশুটিকে বিভিন্ন ভয় দেখায় আসাদুল ও তার স্ত্রী রোজি।

এদিকে, ঘটনার চারদিন পর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি তার নানীকে জানায়। খবর পেয়ে ঢাকা থেকে শিশুর বাবা-মা বাড়িতে আসেন এবং অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে শিশুটি সদর হাসপাতালের চিকিৎসাধীন।

শিশুটির মা-বাবার অভিযোগ, ঘটনার বিচারের নামে স্থানীয় কয়েকজন তাদের আশ্বাস দিয়ে তালবাহনা করছেন। এমনকি ঘটনায় যেন মামলা না হয় সেজন্য বিভিন্ন চাপ দিচ্ছেন তারা। তবে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুর ইসলাম বলেন, নির্যাতনের শিকার শিশুটিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা হলে শিশুটির শরীরে ধর্ষণের আলামত আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হবে।

সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরশেদুল হক মুঠফোনে বলেন, আগে ঘটনাটি তাকে কেউ জানায়নি। শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত অভিযুক্তকে আটক ও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Exit mobile version