Site icon Jamuna Television

অনিয়ম রোধে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে তাঁত পল্লীর স্থান পরিবর্তন

অনিয়ম রোধে মাদারীপুরের শিবচর ও শরীয়তপুরের জাজিরায় ১৯শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাওয়া শেখ হাসিনা তাঁত পল্লীর পূর্ব নির্ধারিত স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী এমপি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মুনির চৌধুরীসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নের্তৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এদিন তিনি আরেক কর্মসূচিতে ৯০টি নদী ভাঙ্গন পরিবারের মাঝে গুচ্ছগ্রামের নতুন ঘরের চাবি তুলে দেন।

এসময় চীফ হুইপ বলেন, শেখ হাসিনা তাঁত পল্লীর নির্ধারিত স্থানে অবৈধ স্থাপনা নিয়ে টিভি, পত্রিকাসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত নিউজ দেখে ও তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে দেখা গেছে এখানে ভাল কিছু হচ্ছে না। আমাদের নির্দেশনায় মাদারীপুরের প্রশাসন অবৈধ সকল স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলেছে। কিন্তু শরীয়তপুরের প্রশাসন কোন কার্যক্রম গ্রহণ করেনি।

গত ২৪ মার্চ পাট ও বস্ত্র মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় কমিটির সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মীর্জা আজম, সংলগ্ন সংসদ সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সবাই একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে সকল এলাকায় অবৈধভাবে ঘর-বাড়ি, গাছপালাসহ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে সে সকল এলাকা এই প্রকল্প থেকে বাদ দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ’শেখ হাসিনা তাঁত পল্লী’র ভিত্তিপ্রস্তর করেন। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯শ ১১ কোটি টাকা। প্রকল্পটির জন্য জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে ৬০ একর ও শরীয়তপুরের জাজিরার নাওডোবায় ৪৮ একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছিল । ভিত্তিপ্রস্তরের পর সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে ওই জমির মালিক ও এক শ্রেণীর দালাল চক্র শত শত ঘরসহ স্থাপনা নির্মাণ ও গাছ লাগানো শুরু করে। এনিয়ে যমুনা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর গত ২৬ জানুয়ারি চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করলে জেলার শিবচরে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করে প্রশাসন। তবে শরীয়তপুরে কোন অভিযান এখন পর্যন্ত চালায়নি প্রশাসন।

Exit mobile version