Site icon Jamuna Television

সুষ্ঠু পরিকল্পনায় দেশের উন্নয়ন সম্ভব তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

বিনিয়োগের জন্যে প্রস্তুত হচ্ছে নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো। এতে দেশি-বিদেশি ও প্রবাসী উদ্যোক্তারা শিল্প-কারখানা তৈরির সুযোগ পাবেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৬৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, দেশি বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি করতেই একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে পারলে উন্নয়ন সম্ভব তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। এখন বেকারত্ব দূর করতে কাজ করছে সরকার।

এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির জন্য যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে আর্থিক সহায়তা পাবেন তারা। পাশাপাশি, তাদের পরিবারের সদস্যদের এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেয়া হবে।

দেশের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করাই এখন মূল লক্ষ্য মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমার খুব ভালো লাগছে অনেক ছেলেমেয়ে বিদেশ থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশে এসে ব্যবসার হাল ধরছে। শিল্পায়ন নিয়ে কাজ করছে। এভাবেই এগিয়ে যাবে দেশের অর্থনীতি।

‘আমার মূল লক্ষ্যই এখন কর্মসংস্থান তৈরি করা, দারিদ্র্য বিমোচন করা। এসব পদক্ষেপেই দেশের জিডিপি এখন ৮ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছে গেছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে যদি কোনো দেশ এগোতে পারে, তা হলে উন্নয়ন সম্ভব। গত ১০ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার তা প্রমাণ করেছে। সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়নি বলে জানান শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়তে জাতির পিতা যা যা করার প্রয়োজন, তাই করে গেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি প্রতিটি উন্নয়নের শুরুটা করেছিলেন। তিনি ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ করতে চেয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। অবহেলিত শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করাই ছিল জাতির জনকের উদ্দেশ্য। দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই চাকরি-বাকরি, ব্যবসাবাণিজ্য বাংলাদেশ এখন উন্নতি করতে পেরেছে।

তিনি বলেন, প্রায় এক দশক রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার ফলে আমাদের যে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ছিল, তা করতে পেরেছি। শিল্পায়ন ছাড়া একটি দেশের অর্থনীতি কখনও বিকশিত হয় না। ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার পরিকল্পনা হয়েছে। যেন কৃষিজমি নষ্ট না করে শিল্প বিকশিত করা যায় সেই চেষ্টা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নেমেছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১ শতাংশ অর্জন করেছি। এভাবেই সমগ্র বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনায় রয়েছে।

টিবিজেড/

Exit mobile version