Site icon Jamuna Television

ঢাকা ইপিজেডে বিক্ষোভ, সরকার-নির্ধারিত বেতন-ভাতার চেয়ে বেশি চান শ্রমিকরা

সাভারে ঢাকা ইপিজেডে কারখানা বন্ধের জেরে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। ভাঙচুরের চেষ্টা হয়েছে বেশ কয়েকটি কারখানায়। বুধবার সকালে নতুন জোনের ট্যালিসম্যান-১ নামের একটি পোশাক কারখানায় এই ঘটনা ঘটে। পরে অন্যান্য কারখানায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে ইপিজেডের প্রায় সব কারখানা আজকের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

শিল্প পুলিশ জানায়, বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট কম দেয়ার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার কর্মবিরতি শুরু করে ওই কারখানার শ্রমিকরা।

তবে ট্যালিসম্যান কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারে বেঁধে দেয়া সব নিয়ম মেনেই ইনক্রিমেন্ট দেয়া হচ্ছে। বরং শ্রমিকদের একটি অংশ অযৌক্তিক কিছু দাবি তুলে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য চাপ দিচ্ছে। এসব দাবি না মানায় তারা কর্মবিরতির ডাক দেয়। ফলে কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয়।

বিষয়টি সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে ট্যালিসম্যান লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।

তাতে সিনিয়র ম্যানেজার আব্দুস সালাম তালুকদার বলেছেন, “মজুরি ও ভাতা সংক্রান্ত সর্বশেষ সরকারি নির্দেশ আমরা একশ’ ভাগ বাস্তবায়ন করার পর কিছু সংখ্যক শ্রমিক আরও বেশি দেয়ার দাবি তুললে তা পূরণে অপারগতা প্রকাশ করায় তারা কর্মবিরতি শুরু করে। বাংলাদেশ সরকার ও বেপজা’র আইন-কানুন লঙ্ঘন করে এই একীভূত শিল্পাঞ্চলে এককভাবে বা বিচ্ছিন্নভাবে কোনো কোম্পানি তার কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের পৃথক সুবিধা দিতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, “একজন নারী শ্রমিকের প্রতি শ্রীলংকান একজন প্রডাকশন ম্যানেজারের কটু মন্তব্য করার অভিযোগটি পুরোপুরি অসত্য ও ভিত্তিহীন। গতকাল থেকে এই গুজব ছড়িয়ে সাধারণ শ্রমিকদের উত্তেজিত করাতে সচেষ্ট ছিল কুচক্রী মহল, এই মিথ্যা তথ্যটি কাজে লাগিয়ে পুরো ঢাকা ইপিজেডে অসন্তোষ ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।”

শ্রমিকদের দাবিগুলো কী কী?

বেপজা’র মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শ্রমিকরা হাজিরা বোনাস হিসেবে সরকার নির্ধারিত ৩০০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা চাচ্ছেন।

এছাড়া কর্মকর্তাদের মতো তাদেরকে কারখানার পক্ষ থেকে খাবার সরবরাহের দাবিও জানিয়েছেন।

এর বাইরে আরও দাবি হচ্ছে, রমজান মাসে শিফটে ৮ ঘণ্টার বেশি ডিউটি দেয়া যাবে না, প্রভিডেন্ড ফান্ড ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে, আর মোবাইল ফোনে কল করে বললে ছুটি মঞ্জুর করতে হবে।

কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব দাবি সরকার নির্ধারিত বেতন-ভাতার আওতার বাইরে। ফলে একক কোনো কোম্পানি হিসেবে তাদের পক্ষে এসব দাবি মানার কোনো সুযোগ নেই।

Exit mobile version