লুমকানি নামে একটি স্মার্ট ডিভাইস বসানো হয়েছে বস্তিতে। অগ্নিকান্ড ঘটার সাথে যন্ত্রটি অ্যালার্ম বাজিয়ে সবাইকে সতর্ক করে সেই সাথে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও জানাতে থাকে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ প্রশাসনের সাথে যৌথভাবে পরীক্ষামূলকভাবে ঢাকার কড়াইল ও কল্যাণপুরে প্রায় ৩০০০ হাজার লুমকানি যন্ত্র বসিয়েছে। এই যন্ত্র থেকে উপকার পাচ্ছেন ব্যবহারকারীরা।
সরকারি হিসাবে ঢাকায় ৫ হাজারের মত বস্তিতে লাখ ৪০ এর মত মানুষ বাস। এখানে অগ্নিকান্ডে জানমালের ক্ষয়ক্ষতিও নিয়মিত ব্যাপার।
সেই ক্ষতি কমাতে রাজধানীর কল্যাণপুর ও কড়াইল বস্তিতে প্রায় তিন হাজার লুমকানি নামে একটি স্মার্ট ডিভাইস বসানো হয়েছে। তাপমাত্রা বাড়লে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বেজে ওঠে অ্যালার্ম। সাথে সাথে সার্ভারের মাধ্যমে সংযুক্ত মোবাইল নম্বরে চলে যায় এসএমএস।
২০১৪ সালে এই যন্ত্রটি আবিস্কার করে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন ইউনিভার্সিটির তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ফ্রানকোইস পিটোউসিস জিতে নেন বেশ কয়েকটি পুরস্কার। দক্ষিণ আফ্রিকাসহ কয়েকটি দেশে যন্ত্রটি ব্যবহারের পর আমাদের দেশে ব্যবহার হচ্ছে। আমাদের দেশে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বাস্তবায়ন করছে গুগল ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের সহায়তায়।
এই প্রকল্পের আওতায় স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করে প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। এরা বেশ কয়েকটি অগ্নি দূর্ঘটনা প্রাথমিক স্তরেই নিয়ন্ত্রণও করেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও উত্তর সিটি করপোরেশনও এই কার্যক্রমের সাথে আছে।
২০১৭ সালে চালু হওয়ার পর প্রকল্পটি পরীক্ষামূলকভাবে চলছে। দেশে এর ব্যবহার আরও বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ।

